তারকাদের পুজো:
পুজো মানেই বাঙালির কাছে কবজি ডুবিয়ে খাওয়া-দাওয়া, দেদার গান-গল্প, আড্ডা আর অবশ্যই সিনেমা দেখা। সারাবছর শুটিং, সিরিজ, সিনেমার প্রচার কাজের ব্যস্ততা দূরে সরিয়ে পুজোর আমেজে মেতে ওঠেন তারকারা। আর পুজো রিলিজ মানেই আনন্দ-উচ্ছ্বাসের সঙ্গে টেনশন উপরি পাওনা তারকাদের। পুজো স্পেশ্যাল সিনেমা রিলিজের লিস্টিতে এবারের অন্যতম তারকা আবির চট্টোপাধ্যায়। তা পর্দার 'সোনাদা' ওরফে আবিরের পুজোটা কীভাবে কাটানোর পরিকল্পনা করছেন? ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে খোঁজ নিলেন সন্দীপ্তা ভঞ্জ।
প্রশ্ন যেতে, প্রথমেই সিনেমার কথা অভিনেতার মুখে। কারণ, অভিনেতার এই দুর্গাপুজোটা তো কাটবে ‘কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন’ অ্যাডভেঞ্চারে। আবির চট্টোপাধ্যায় বললেন, একটাই প্ল্যান- 'কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন'। তাছাড়া পুজোয় বেশ কয়েকটা ব্যক্তিগত কাজ থাকে। পুজো পরিক্রমা, কর্পোরেট ইভেন্টস এসব আছে প্রতিবারের মতোই। তবে সেসব বাদ দিয়ে পুজোর কয়েকটা দিন শুধু পরিবার আর বন্ধুদের সঙ্গে কাটাতেই ভালবাসি। তবে এবারের পুজোয় যাই করি না কেন, সারাক্ষণ কান খোলা থাকবে যে প্রেক্ষাগৃহে 'কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন' দেখে দর্শকদের কী প্রতিক্রিয়া?
অভিনেতার কাছে পুজো মানেই ঘনিষ্ঠবৃত্তে সকলে একসঙ্গে সময় কাটানো, দেদার আড্ডা, খাওয়াদাওয়া। তবে অবশ্যই সেটা কাজ সেরে। তবে পুজো নস্ট্যালজিয়া যতই থাক, পুরনো স্মৃতি আঁকড়ে নতুন মুহূর্ত তৈরির পক্ষপাতী আবির চট্টোপাধ্যায়।
অভিনেতার কথায়, প্রতিটা বয়স আলাদা স্মৃতি তৈরি করে। ছোটবেলায় যেভাবে পুজো কাটিয়েছি, এখন অবশ্যই সেভাবে পুজো কাটানো হয় না। প্রতিবছর দুর্গাপুজোয় কিছু না কিছু নতুন মুহূর্ত তৈরি হয়। আর তাই তো পুজো নিয়ে আমাদের এত মাতামাতি। নস্ট্যালজিয়া অবশ্যই থাকে, তবে তার পাশাপাশি এই নতুন নতুন মুহূর্ত তৈরি করার বিষয়টা ভাল লাগে।
তাই বলে কি অতীতের পুজোর দিনগুলো মিস করেন না এখন আর? আবিরের উত্তর, "ছোটবেলায় কিংবা আগে যেরকম পাড়ায় আড্ডা দেওয়া, খিচুড়ি ভোগ খাওয়া হত, সেসব তো এখন আর আমার পক্ষে সম্ভব হয় না। তবে পুজো পরিক্রমা সারতে গিয়েই কলকাতার সিংহভাগ ঠাকুর দেখা হয়ে যায়।"
আর পুজো ফ্যাশন? আবির চট্টোপাধ্যায়ের কাছে পুজোর পোশাক মানেই এথনিক। পুজোর কটা দিন সাবেকি সাজই পছন্দ অভিনেতার। তবে হ্যাঁ, শেষপাতে 'সোনাদা' এও জানিয়েছেন যে, 'কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন'- হিট করলে পুজোতে জমিয়ে কবজি ডুবিয়ে খাওয়া-দাওয়া করবেন।