তারকাদের পুজো:
এবারের পুজোটা কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে খানিক আলাদা। সদ্য চেন্নাই থেকে ফিরেছেন শিঁরদাড়ার জটিল অস্ত্রোপচার করিয়ে। যার জেরে কণ্ঠস্বর অবধি চলে গিয়েছিল অভিনেত্রীর। তবে থেমে থাকেননি কনীনিকা। মনের জোরে চালতাবাগান লোহাপট্টি পুজোয় গেলেন, মঞ্চে উঠলেন আর জমাটি নাচে মন ভরালেন দর্শকদের। তা এবারের দুর্গাপুজোটা কীভাবে কাটানোর পরিকল্পনা করেছেন অভিনেত্রী? ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে খোঁজ নিলেন সন্দীপ্তা ভঞ্জ।
প্রসঙ্গত, পুজো মানেই বাঙালির কাছে কবজি ডুবিয়ে খাওয়া-দাওয়া, দেদার গান-গল্প, আড্ডা আর অবশ্যই সিনেমা দেখা। সারাবছর শুটিং, সিরিজ, সিনেমার প্রচার কাজের ব্যস্ততা দূরে সরিয়ে পুজোর আমেজে মেতে ওঠেন তারকারা। কনিনীকা অবশ্য এবার সেই তালিকা থেকে খানিক ব্যতিক্রম। কারণ, গত আগস্ট মাসেই তাঁর শিঁরদাড়ায় জটিল অস্ত্রোপচার হয়েছে। বিছানা থেকে উঠতে অবধি পারেননি দিন কয়েক। গলার আওয়াজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কথাই বলতে পারছিলেন না। তাই 'আয় তবে সহচরী'র জন্য ডাবিং করার সুযোগও ছিল না। শেষমেশ সিরিয়ালটাই বন্ধ হয়ে যায়। তবে শারীরিক অসুস্থতা টলাতে পারেনি কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনের জোর। তাই এই পুজোতেই ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেলেন অভিনেত্রী। কীভাবে?
সন্দীপ ভুতোরিয়ার কাছ থেকেই পুজো উদ্বোধনের প্রস্তাবটা পান। অমত করেননি কনীনিকা। তৎক্ষণাৎ সবুজ সংকেত দিয়ে দেন। কারণ, অভিনেত্রীর কথায়, "আমি যখন কাজের মধ্যে থাকি, ভাল থাকি। আমি ভাগ্যকে কখনও দোষ দিই না। কারণ, কঠিন সময় আমাদের জীবনে অনেক কিছু শেখায়। কে বা কারা আমার বন্ধু বুঝতে সুবিধে হয়েছে। এই দুঃসময় তারা সবসময়ে আমার পাশে থেকেছে। পুজো উদ্বোধনের প্রস্তাব আসায় আমার স্বামী সুরজিৎ একটু চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল বটে। তবে আমার মা, যিনি কিনা আমার কাছে মা দুর্গা-সম তিনি বলেছিলেন, তুমি যদি এখনই না বের হও, তাহলে এই পরিস্থিতি থেকে বেরতে আরও অনেকটা সময় লেগে যাবে। সেটাই আমাকে সাহস জুগিয়েছে। আমি পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে নাচও করেছি। আমার ঘাড়ে-পিঠে সেভাবে কোনও কষ্ট হয়নি।"
<আরও পড়ুন: ১০-১২ হাজার মানুষের সঙ্গে অঞ্জলি দেব, খুব এক্সাইটেড: ঋতাভরী>
আর পুজোর প্ল্যান? সেসবও ছকা কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এইমুহূর্তে তিনি রয়েছেন বকুল বাগানে। দিন দুয়েক আগেই চালতাবাগান লোহাপট্টির মঞ্চে আগমনী নাচে মন ভরিয়েছেন। অভিনেত্রী জানালেন, "আমার পাড়া পুরো সেজে উঠেছে। রাস্তায় কত লোক। অপারেশনের পর ভেবেছিলাম আর হয়তো কখনও লোকজনের সঙ্গে স্বাভাবিক ছন্দে মেলামেশা করতে পারব না। তবে এখন ভীড় দেখলেই আনন্দ হয়। আমি যদিও প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বেরচ্ছি না। খুব ভেবেচিন্তে পা ফেলি। তবে সপ্তমীতে ভিয়েতনাম ঘুরতে যাচ্ছি।" শপিং? কনীনিকার মন্তব্য, "এবার কোনও কেনাকাটা করিনি। পুজোর আমেজটা উপভোগ করছি শুধু।"