পুজো মানেই বাঙালির কাছে দেদার গান-গল্প, আড্ডার পাশাপাশি কবজি ডুবিয়ে খাওয়া-দাওয়া। সারাবছর শুটিং, সিরিজ, সিনেমার প্রচারের মাঝে কড়া ডায়েট মেনে চলতে হয় তারকাদের। কাজেই বছরের পাঁচটা দিন নিয়মভঙ্গ করলে ক্ষতি কী? কিন্তু প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে অনেকেই এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম মানেন। কারণ, ৫৯-এও তিনি একেবারে তরতাজা যুবক। ডাবের জল, টকদই আর ব্ল্যাক কফি ছাড়া বুম্বা নাকি কিছু মুখেই তোলেন না! তাঁর ফিটনেস সচেতনতাকে ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই বেদবাক্য মেনে চলেন। তবে সেই প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়-ই নাকি পুজোর ডায়েটে গরমিল করেন! ফাঁস করলেন সেকথা।
Advertisment
কীরকম? সারাবছর স্যালাড, টক দই, ডাবের জল কিংবা হালকা খাবার খেলেও দুর্গাপুজোর পাঁচ দিনের তিন দিনই মায়ের ভোগ খান। তবে শুধু খিচুড়ি ভোগ নয়, সেই তালিকায় থাকে পাঠার মাংসও। নিজেই পুজোর ডায়েটের কথা ফাঁস করলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তাও আবার 'কাছের মানুষ' দেবকে নিয়ে।
সবজি বাজার করতে বেরিয়েছিলেন দেব-প্রসেনজিৎ। সেখানেই বুম্বার প্রিয় সবজির কথা জানতে চান দেব। প্রশ্ন ছোঁড়েন- "তুমি নাকি সারাদিন স্যালাড খাও?" অমনি বাজারে পসার সাজানো ডালা দেখিয়ে প্রসেনজিতের উত্তর- "শশা, গাজর, টম্যাটো, লেটুস, ব্রকলি.. এগুলোই স্যালাডে বেশি করে খাই।"
পুজোতে কী খান জিজ্ঞেস করতেই বুম্বার মন্তব্য, ভোগ। বছর দুয়েক সব ঘেঁটে গিয়েছিল ঠিকই, তবে পুজোয় চেষ্টা করি নো ডায়েট। সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী এই তিনটে দিন মায়ের ভোগ মাস্ট! নবমীতে পাঁঠার মাংস, ভোগ আসে। এই তিন দিন ভোগ খাবই। তার জন্য রাত্রিবেলা হয়তো কিছু না খেয়ে পুষিয়ে নিই। এরপরই ইঙ্গিত করে দেবের প্রশ্ন- "আর মদ্যপান?" তাতে প্রসেনজিতের সপাট উত্তর- 'এক্কেবারে না..।"
প্রসঙ্গত, ৩০ সেপ্টেম্বর পঞ্চমীর দিন রিলিজ করছে 'কাছের মানুষ'। তাই বর্তমানে সিনেমার প্রচারে দারুণ ব্যস্ত দেব-প্রসেনজিৎ।