তারকাদের পুজো:
পুজো মানেই বাঙালির কাছে কবজি ডুবিয়ে খাওয়া-দাওয়া, দেদার গান-গল্প, আড্ডা আর অবশ্যই সিনেমা দেখা। আর পুজো রিলিজ মানেই সপ্তমস্বর্গে তারকারা। পাশাপাশি অনুরাগীরাও আহ্লাদে আটখানা। পুজো স্পেশ্যাল সিনেমা রিলিজের লিস্টিতে এবারের অন্যতম তারকা সৌরভ দাস। পুজোটা কীভাবে কাটানোর পরিকল্পনা করেছেন অভিনেতা? ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে খোঁজ নিলেন সন্দীপ্তা ভঞ্জ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে প্রশ্ন যেতে, "প্রথমেই সিনেমার কথা অভিনেতার মুখে। সৌরভ দাস বললেন, পুজোয় এখনও পর্যন্ত হল ভিসিট করার কথা আছে 'কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন'-এর জন্য। 'বলো দুগ্গা মাই কী' ছবির পর আমার দ্বিতীয় পুজো রিলিজ 'কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন'। ভীষণ এক্সাইটেড।" এরপরই একরাশ উচ্ছ্বাস অভিনেতার গলায়। বললেন, "এছাড়াও আমি একটা নতুন জিনিস করতে চলেছি। একটা ক্যাফে খুলছি। এবার পুজোয় আমার বেশিরভাগ সময় সেখানেই কাটাতে হবে। এতদিন আমার দুর্গাপুজো মানেই ছিল হাউসপার্টি আর বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা।"
"আমার বরাবরই হোটেল ইন্ডাস্ট্রিতে ঢোকার ইচ্ছে ছিল। ৫ দিন ওখানেই থাকব। এবার আড্ডা দিতে ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধবদের ক্যাফেতেই ডেকে নেব। নাম 'ক্যাফে বাই দ্য লেন- সল্টলেক'। কন্টিনেন্টাল ডিশ পাবেন। ভিন্টেজ থিম। ওই 'উডস্টক' টাইপের। ৮০- ৯০ দশকের মিউজিক চলবে", যোগ করলেন সৌরভ।
শৈশবের পুজোর প্রসঙ্গ উঠতেই নস্ট্যালজিয়ায় ভাসলেন ভক্তদের 'মন্টুদা' ওরফে সৌরভ। তাঁর কথায়, "ছোটবেলায় যেভাবে পুজো কাটাতাম সেটা সত্যিই মিস করি। আগে ইচ্ছে করলেই পুজোয় বন্ধুদের সঙ্গে হুটহাট বেরিয়ে পড়তাম। বেহালা পর্ণশ্রীতে দাদুর বাড়ি। সেখানে চলে যেতাম। একটা ট্যাক্সিতে ৫জনের জায়গায় আটাআটি করে, ড্রাইভারের সঙ্গে ঝগড়া করে ৬-৭জন বসতাম। একেকজনের মাথা-পা এদিক ওদিক। কিন্তু এখন আর সেটা হয়ে ওঠে না অনুরাগীদের ভিড়ে, আহ্লাদে। মাঝেমধ্যে তো মনে হয়, বাড়ি ফিরতে পারব না। কিন্তু মাঝেমধ্য়ে ভক্তদের আহ্লাদ, ভালবাসা মন্দ লাগে না। দিন কয়েক আগেই তো নন্দনে গিয়েছিলাম। গাড়ির কাঁচটা ভেঙেছে। তবে ঠিক আছে। তবে ওই একদিন আমি টুক করে আগের মতো আবার বেরিয়ে পড়তে চাই।"
সৌরভ দাসের ওয়ার্ড্রোবও যে কোনও ফ্য়শনিস্তার জন্য ঈর্ষণীয়। ছকভাঙা স্টাইল, রকমারি পোশাকের সম্ভার তাঁর কাছে। তা এবারে পুজোয় কী পরছেন সৌরভ? "পুজোয় আমি এথনিক পরতেই ভালবাসি সাধারণত। ধুতি-প্যান্ট, হারেম, ইন্দো-ওয়েস্টার্ন পরি। আলখাল্লা টাইপস জামা পরতে আমার ভাল লাগে আসলে।"
বন্ধু-বান্ধব তো রয়েইছে, বাড়ির সদস্যদের সঙ্গেও সময় কাটানোর পরিকল্পনা রয়েছে সৌরভের। বললেন, "পরিবারের সবাই একটা দিন থাকবে ক্যাফেতে। সেখান থেকে সকলে সল্টলেক এফ-ডি ব্লকের ঠাকুর দেখতে যাওয়ার কথা রয়েছে। সুযোগ পেলে আমিও টুক করে ঢুকে যাব! মাঝখানে একটা দিন অফ নেব। হয় বাড়িতে সব বন্ধুদের ডেকে নেব বাড়িতে নইলে বাড়ির সকলের সঙ্গে সময় কাটাব। এবার আমার জন্য এক্কেবারে ওয়ার্কিং পুজো।"