বাইশের জুন মাসের কথা। দুর্নিবার সাহা ও মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের বিয়ে ভাঙার খবরে তোলপাড় হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া। পাশাপাশি তাঁদের দাম্পত্যে ফাটল ধরার নেপথ্যের মানুষটিকে নিয়েও চর্চা কম হয়নি! তিনি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের জনসংযোগ আধিকারিক মোহর ওরফে ঐন্দ্রিলা সেন। এবার শোনা গেল, বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন ঐন্দ্রিলা-দুর্নিবার।
স্ত্রী মীনাক্ষী এখন 'অতীত' দুর্নিবারের জীবনে। মোহরেই মন-প্রাণ দিয়েছেন গায়ক। অতঃপর 'শুভস্য শীঘ্রম'! মার্চ মাসেই প্রেমিকাকে নিয়ে ছাদনাতলায় বসছেন দুর্নিবার। তারিখও প্রকাশ্যে। আগামী ৯ মার্চ ঐন্দ্রিলার সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়বেন দুর্নিবার। শুরুটাও রোম্যান্টিক গানের মতোই। কীভাবে? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যুগল।
২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে সামপ্লেস এলসে দুর্নিবার সাহার একটা শোয়ে গিয়েছিলেন মোহর। সেখানেই ফোন নম্বর চালাচালি। তবে কথা হয়নি। তারপর একটা ট্রেলার লঞ্চের ইভেন্টে আবার দেখা। সেখানেই প্ল্যান হয় একসঙ্গে লক্ষ্মীছাড়ার শো দেখতে যাবেন। সেই শোয়ের মোহরের আসতে খানিক দেরি হচ্ছিল দেখে দুর্নিবারই তাঁকে ফোনে গান শোনান। সেখান থেকেই একে-অপরের প্রতি টান অনুভব করেন দুর্নিবার-ঐন্দ্রিলা। আর সেই প্রেমই এবার বিয়ের পিঁড়িতে পরিণতি পাচ্ছে।
<আরও পড়ুন: ‘কথা রাখতে পারলাম না কাকিমা..’, দাড়ি-গোঁফ কামিয়ে ঐন্দ্রিলার মাকে ফোন ‘সাধক’ সব্যসাচীর>
বিয়ের পরিকল্পনাও প্রায় সেরে ফেলেছেন দুজনে। প্রেমিকা মোহরের কাছে বিয়ে মানেই রঙিন অনুষ্ঠান। দুই বাড়ির লোকজন মিলে ধুমধাম করে আনন্দ করা। বিবাহ বাসরে হয় সানাই নইলে দুর্নিবারের গাওয়া রবীন্দ্রসঙ্গীত বাজবে। তবে দুর্নিবারের পছন্দ জ্যাজ।
উল্লেখ্য, একমাস ধরে দুর্নিবারের ঘর ভাঙার খবরে চাপানোতর হওয়ার পর বাইশের জুলাই মাসে ঐন্দ্রিলা সেন নিজেই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দুর্নিবারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কে কথা প্রকাশ্যে আনেন। সমালোচনাও কম হয়নি! ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার সঙ্গে কথোপকথনে দুর্নিবার নিজেই তাঁর উত্তরে বলেছিলেন, "আমার বিয়ে-বিচ্ছেদ নিয়ে লোকে কম ভাবুক, সময় বাঁচবে।" এবার মার্চে বিয়ে করার কথা জানালেন গায়ক।