East Bengal Footballer Relationship with Actress: তারকার প্রেম সবসময় চর্চার একটি বিষয়। কিন্তু, এই প্রেম যখন কোনও স্পোর্টস পারসনের সঙ্গে হয়, ঠিক তখন নানা আলোচনা শোনা যায়। শুধু কি বলিউডের তারকারাই বারবার খেলোয়াড়দের প্রেমে পড়েছেন। টলিপাড়াতেও এরকম এক প্রেম কাহিনী ছিল, যা এক সময়, তুখোড় আলোচনায় ছিল। ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারের সঙ্গে প্রেমে মজেছিলেন টলিপাড়ার অন্যতম নায়িকা রিমঝিম মিত্র।
ফুটবলারের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন অভিনেত্রী। এখানেই শেষ না। একটা সময় তো তাদের সম্পর্ক বিয়ে অবধি পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। তাহলে সম্পর্কটা ভাঙল কেন? বহু বছর পরে এই প্রসঙ্গে মুখ খুলে ছিলেন রিমঝিম। প্রাক্তন ইস্টবেঙ্গল ফুটবলার অ্যালভিটো অভিনেত্রীর প্রেমে পাগল ছিলেন। অভিনেত্রী বলেন, তার পরিবারের বেশিরভাগ মানুষই ফুটবলের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন। তাই ফুটবলের প্রতি তার টান ছিল সাংঘাতিক। বাবার যেহেতু হার্টের সমস্যা ছিল সেই কারণে তিনি প্রফেশনাল লেভেল অব্দি খেলতে পারেনি। কিন্তু আমার জেঠু ছিলেন একমাত্র যিনি ন্যাশনাল টিমের কোচ এবং প্লেয়ার ছিলেন। খেলার সঙ্গে আমার একটা কানেকশন ছিল।
Actress Harassment Incident: অশ্লীল ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বাবার বয়সী প্রযো…
অভিনেত্রী জানান তার বাড়ির পেছন দিকটা এখনো ফ্ল্যাট হয়ে গেল আগে বড় মাঠ ছিল। বিকেল হলেই তারা নাকি ফুটবল খেলতেন। ছেলে মেয়ে সকলে একসঙ্গে মিলে খেলতেন ফুটবল। তাদের পাড়ায় ক্রিকেট না বরং ফুটবলের চল ছিল। জেঠুর একটা ইভেন্টে এর মাধ্যমেই তার আলাপ হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের তারকা ফুটবলারের সঙ্গে। প্রথমে তাঁরা শুধু বন্ধু ছিলেন, কিন্তু ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে প্রেম বাড়তে থাকে। হ্যাপী কাপল ছিলেন। এত বছর হয়ে গেছে কিন্তু তারপরও তারা খুব ভালো বন্ধু। বিচ্ছেদের দুঃখ সকলের মধ্যেই থাকে কিন্তু তারপরও রিমঝিম ভালোটাই মনে রেখেছেন। অভিনেত্রীকে বলতে শোনা গেল...
আমি ভালো জিনিসটাই মনে রাখতে চাই খারাপটা মনে রাখতে চাই না। আমরা এখনো ভালো বন্ধু। তারপরেও বিয়ে কর মিষ্টি একটা মেয়েও হয়। দুই বাড়ির তরফেই বিয়ে পর্যন্ত এগিয়ে গিয়েছিল। বারবার জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তারা বিয়ে কবে করবেন। অল্প অল্প ভাবতাম তখন, বিয়ে নিয়ে। অ্যালভিটো ডিসাইড করেনি তখন, গোয়াতে থাকবে নাকি কলকাতায় সেটেল করবে। আমিও কিন্তু ভাবি নি তখন কি করব। আমি দু তিনবার গোয়া গিয়েছিলাম সঙ্গে মা ও গিয়েছিলেন। আমি গোয়াতে গিয়ে দেখলাম যে ওখানে আমার পেশার মত, অভিনয়ের কিংবা নাচ - ওদের সেটা ছিল না।"
Mamata Shankar Received Padmashree: পদ্মশ্রী পেলেন মমতা শঙ্কর, হাতজোড়…
তাহলে কি পেশার জন্যই অভিনেত্রী সম্পর্ক বিচ্ছেদ ঘটালেন? প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, "ওদের কংকনি নাটক খুব ফেমাস। কিন্তু সেখানে গিয়ে আমি পেশাগতভাবে কিছু করতে পারবো না। ওখানে থাকতে হলে আমাকে সবকিছু ছেড়ে থাকতে হতো। এবার আমি যেখানেই থাকি কিন্তু আমি আমার মাকে ছেড়ে থাকবো না। মাকে এখান থেকে ওখানে নিয়ে যাবা সেটা একটু সমস্যা দায়ক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এছাড়াও কোন ব্যক্তিগত কিছু মতভেদ ছিল। সে কারণেই আমরা আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। এমন কিছু না যে বিরাট ঝগড়া করে আমাদের মধ্যে সবকিছু শেষ হয়েছে। দুজনে একসাথে বসে সিদ্ধান্ত নিলাম যে না ওয়ার্ক করছে না।"