প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জীবনের উপর নির্মিত ছবির (বায়োপিক) মুক্তিতে বাধা দিল নির্বাচন কমিশন। গতকাল, মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে ছবি মুক্তি রদের আবেদন খারিজ হয়েছিল। এসংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায় বর্তে ছিল সিবিএফসির উপর (সেন্সর বোর্ড)। এরপর আজ বুধবার সকালেই ছবিটিকে ছাড়পত্র দিয়েছিল সেন্সর বোর্ড। কিন্তু শেষপর্যন্ত রাশ টানল নির্বাচন কমিশন।
এদিনের সিদ্ধান্তের পর বলাই যায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বায়োপিক মুক্তি পাচ্ছে না ১১ এপ্রিল। বহু বিরোধের পর আশার আলো দেখেছিল প্রযোজকরা। কিন্তু গোল বাঁধল নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে। ভারতীয় সংবিধানের ৩২৪ নং ধারা অনুযায়ী অতিরিক্ত ক্ষমতা প্রয়োগে মোদীর বায়োপিকের মুক্তি বন্ধ করেছে নির্বাচন কমিশন।
কমিশন বলেছে, ''রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত কোন ব্যক্তির বায়োপিক তৈরি হলে, বিশেষ করে নির্বাচনের সময়ে সেটা 'লেভেল প্লেয়িং'-এর ক্ষেত্রে বাধার কারণ হয়। নির্বাচনী আচরণ বিধির নিরিখে কোনও ইলেকট্রনিক মাধ্যমে এইধরনের সিনেমাটোগ্রাফ প্রদর্শিত হওয়া উচিৎ নয়''। বায়োপিক এখন মুক্তি পেলে নির্বাচনে বিশেষ কোনও একটি দল বাড়তি সুবিধে পেয়ে যাবে এই কারণ দেখিয়ে নরেন্দ্র মোদীর বায়োপিকের মুক্তি বন্ধ করল নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন, ছাড়পত্র সিবিএফসির, অবিলম্বে মুক্তি পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-র বায়োপিক
প্রথমে ছবিটা ৫ এপ্রিল মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল কিন্তু সিবিএফসির ছাড়পত্র না পাওয়ায় তা পিছিয়ে যায়। ছবিটির জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিরোধী দলের সমালোচনার মুখে পড়েন। ভোটের বাজারে বিরোধীরা এই ছবিটিকে ‘উদ্দেশ্যপ্রনোদিত’ বলে আক্রমণ করেছেন। উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচন ১১ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ১৯ মে পর্যন্ত চলবে আর তার মধ্যেই মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল এই ছবির।
ছোটবেলা থেকে প্রধানমন্ত্রী হওয়া পর্যন্ত যাত্রাপথকে দেখানো হয়েছে এই ছবিতে। বায়োপিকে বিবেক ছাড়াও রয়েছেন বোমান ইরানি, বরখা বিস্ত, দর্শন কুমার, জরিনা ওহায়াব, মনোজ যোশী ও আরও অনেকে। নরেন্দ্র মোদীর বায়োপিক তৈরির জন্য গুজরাট থেকে দিল্লি রেইকি করতে দেখা গিয়েছিল উমঙ্গ কুমারকে। এখন সেই ছবির মুক্তির জটেই প্রযোজকরা।