নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। তারপরও পুরসভায় বসে সাংবাদিক বৈঠক করলেন একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বারাসতের তৃণমূল তারকা প্রার্থী তথা বিদায়ী বিধায়ক চিরঞ্জিৎ। আর যার জেরেই বিতর্কের সূত্রপাত। বিরোধী শিবির নির্বাচনী নীতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যেই কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে। যার ভিত্তিতে কমিশনের তরফে শোকজ করা হল চিরঞ্জিতের (Chiranjeet) সাংবাদিক বৈঠককে। বারাসতের পুর প্রশাসকের তরফে সংশ্লিষ্ট নোটিসের প্রেক্ষিতে জবাবও দেওয়া হয়েছে।
তৃণমূলের (TMC) পদপ্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পরের দিনই, ৬ মার্চ বারাসতে যান চিরঞ্জিৎ। এই নিয়ে তিনবার তৃণমূলের তরফে টিকিট পেয়েছেন তিনি। দু'বার বারাসত কেন্দ্র থেকে তিনি জয়ী হয়ে বিধায়ক হয়েছেন। তবে মমতার কাছে অব্যহতি চেয়ে সরে আসার পরই জল্পনা শুরু হয়েছিল যে তিনিও বোধহয় বিজেপির দিকেই ঝুঁকছেন। কিন্তু কোথায় কী! সপ্তাহ ঘুরতেই দেখা গেল সুর বদল। করোনা টিকা নিয়ে দিদির দূত হয়ে ময়দানে নামতে প্রস্তুত তিনি। এবার বারাসত থেকে হ্যাটট্রিকের আশাতেই বুক বেঁধেছেন। আসন জিততে দলীয় একতা বজায় রাখাই তাঁর মূল মন্ত্র। জয়ের বিষয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসীও চিরঞ্জিৎ। কিন্তু এসবের মাঝেই বিতর্কে জড়ালেন।
ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ তুলেছেন, "নির্বাচনী বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে যাওয়ার পর, কোনও সরকারি জায়গায় বসে দলীয় প্রচার করা নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের আওতাতেই পড়ে। তা কমিশনের আইন লঙ্ঘন করে। যা চিরঞ্জিৎ করেছেন।" তার ভিত্তিতেই পুর প্রশাসকের কাছে কৈফিয়ৎ তলব করে কমিশন। এপ্রসঙ্গে পুর প্রশাসক সুনীলও জবাব দিয়েছেন। তাঁর কথায়, চিরঞ্জিতের এদিনের বৈঠক আগে থেকে ঠিক ছিল না। আসলে বিধায়ক উন্নয়নের টাকায় এলাকার কাজ খতিয়ে দেখতেই এদিন এসেছিলেন চিরঞ্জিৎ, কিন্তু সেসময়েই হঠাৎ সাংবাদিকরা এসে পৌঁছন। তবে তাঁর এই যুক্তি মানতে নারাজ বিরোধী শিবির।