সুকেশ চন্দ্রশেখর আর্থিক জালিয়াতির জের। অভিযুক্তের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও হাত মেলানোর অভিযোগে জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ এবার আরও মারাত্মক বিপাকে। অভিনেত্রীর সাড়ে ৭ কোটি টাকার অবৈধ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। যেগুলোর মধ্যে ৫ কোটি মূল্যের বেশি টাকার উপহার জ্যাকলিনকে দিয়েছিলেন অভিযুক্ত সুকেশ।
গতবছর ডিসেম্বর মাসের কথা। মুম্বই বিমানবন্দরে আটকানো হয় জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে। এরপর অভিনেত্রীকে ৮ ডিসেম্বর ইডি দপ্তরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। পাঁচ ঘণ্টা ধরে ইডি আধিকারিকরা জেরা করেন শ্রীলঙ্কান সুন্দরীকে। আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ মামলার (PMLA) আওতায় এবার জ্যাকলিনের অবৈধ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি।
প্রসঙ্গত, সুকেশের আর্থিক প্রতারণা মামলায় জ্যাকলিনকে এর আগে বহুবার জেরা করেছে ইডি। সেই সূত্রেই তদন্ত চালানো হয়েছিল। এজেন্সি সূত্রে খবর, চন্দ্রশেখর সুকেশের অপরাধমূলক আয়ের অন্যতম একজন সুবিধাভোগী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ। অভিযোগ, ২০০ কোটির আর্থিক প্রতারণা মামলায় অভিযুক্ত সুকেশ তাঁর তোলাবাজির টাকা দিয়েই বহুমূল্য জিনিস উপহার দিতেন অভিনেত্রীকে।
জ্যাকলিন ও তাঁর পরিবারকে কম করে কোটি টাকার উপহার দিয়েছেন সুকেশ চন্দ্রশেখর। যার মধ্যে রয়েছে বহুমূল্য ঘোড়া, চিনা মাটির বাসন এবং গয়না। এমনকী পোষ্য বিড়ালও। গোড়ার দিকে জ্যাকলিনের নাম এই কাণ্ডে জড়ালেও সেইভাবে উত্তেজনা ছড়ায়নি। তবে সুকেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই বেজায় ফেঁসেছেন অভিনেত্রী। সেই প্রেক্ষিতেই তাঁকে বহুবার ইডির তরফ থেকে জেরা করা হয়। এজেন্সির তরফ থেকে যে চার্জশিট আগে জমা দেওয়া হয়েছিল, তাতে জ্যাকলিনের বিরুদ্ধেও যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। সুকেশের সঙ্গেই সম্পর্কে ছিলেন অভিনেত্রী, তাই ২০০ কোটির প্রতারণায় জ্যাকলিনও সমান অভিযুক্ত বলেই দাবি করেছেন সুকেশের আইনজীবী।
অন্যদিকে গতবছর ইডির জেরার মুখে অভিনেত্রী জানান, সুকেশের কাছ থেকে তিনি শুধুমাত্র ব্র্যান্ডেড ব্যাগ, পোশাক-জুতো, হিরের কানের দুল, ব্রেসলেট- এসব পেয়েছিলেন। তবে তদন্ত মারফৎ এজেন্সি জানতে পারে যে প্রতারণা মামলা দায়ের হওয়ার পরও সুকেশ গতবছর আগস্ট মাস অবধি জ্যাকলিনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন