ED raids shilpa shetty And Raj Kundra propaties offices : সমস্যা যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। ফের শিল্পা শেট্টি-রাজ কুন্দ্রার দুয়ারে ইডি-র হানা। শুক্রবার সাতসকালে তারকা দম্পতির মুম্বই-উত্তরপ্রদেশের ১৫ টি জায়গায় চিরুণি তল্লাশি চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য মোবাইল অ্যাপলিকেশনের মাধ্যমে পর্নোগ্রাফির কনটেন্ট বিতরণ করা, সেই সঙ্গে আর্থিক তছরুপের অভিযোগের ভিত্তিতেই ফের ইডি-র কবলে রাজ কুন্দ্রা ও শিল্পা শেট্টি। ২০২১ -এ রাজের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি তৈরির অভিযোগ ওঠে। সেই সময় মুম্বই পুলিশের অধীনে মামলাটি ছিল। পরে পর্নোগ্রাফি কেলেঙ্কারি মামলার তদন্তভার যায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেটের কাছে।
২০২১-এর জুলাইয়ে মুম্বই পুলিশের অপরাধ দমন শাখা গ্রেফতার করে শিল্পা শেট্টির স্বামী রাজ কুন্দ্রাকে। ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং তথ্য প্রযুক্তি আইনের বিভিন্ন ধারার অধীনে গ্রেফতার হয়েছিলেন রাজ। পরে জামিনে ছাড়া পান তিনি। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের গোড়াতেই বিটকয়েন পঞ্জি স্ক্যামের আর্থিক তছরুপ মামলায় নাম জড়ায় তারকা দম্পতির।
রাজ-শিল্পার প্রায় ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ইডি। শিল্পা শেট্টির নামে থাকা বান্দ্রার বিলাসবহুল ফ্ল্যাটও হাতছাড়া হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, সেলেব দম্পতির বিরুদ্ধে রয়েছে আরও অভিযোগ। ৯০ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ রাজ কুন্দ্রা ও শিল্পা শেট্টির বিরুদ্ধে।
এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী পৃথ্বীরাজ কোঠারির অভিযোগের বিরুদ্ধে শুরু হয় ঘটনার তদন্ত। তিনি রিদ্ধি সিদ্ধি বুলিয়ান্সের ম্যানেজিং ডিরেক্টর। অভিযোগ করেছিলেন, তারকা কাপল রাজ কুন্দ্রা ও শিল্পা শেট্টি সত্যযুগ গোল্ড প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা।
২০১৪ সালে এই সংস্থার অধীনে একটি স্কিম শুরু হয়। যার অধীনে বহু মানুষ সেই স্কিমে বিনিয়োগ করেন। শর্ত ছিল, এই গোল্ড স্কিমে বিনিয়োগের সময় সোনার দামে ছাড়ের হারে সম্পূর্ণ অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে। মেয়াদ শেষে বিনিয়োগকারীকে তাঁর প্রাপ্য সোনা ফেরৎ দেওয়া হবে। সেই সময় সোনার দাম যাই থাকুক না কেন সেই হারেই সোনা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তাঁরা।
এই স্কিমের গ্যারান্টিও দেওয়া হয়েছিল বিনিয়োগকারীদের। সঠিক সময়ে সোনা ফেরৎ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন মিস্টার ও মিসেস কুন্দ্রা। সেই জন্যই ৯০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন পৃথ্বীরাজ কোঠারি। ২০১৯- এর ২ এপ্রিল পাঁচ বছর পূর্ণ হয়। তখন পাঁচ হাজার গ্রাম ২৪ ক্যারেট সোনা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু, বাজার মূল্য নির্বিশেষে রিদ্ধি সিদ্ধি বুলিয়ান্সের ম্যানেজিং ডিরেক্টরিকে সোনা ফেরৎ দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ জানিয়েছিলেন।