তখন ইন্ডাস্ট্রির গোল্ডেন এরা। শশী কাপুর থেকে জিতেন্দ্র, ঋষি কাপুর... মেয়েরা যেমন তাঁদের জন্য পাগল, তেমনই ধুয়াধার অ্যাকশন মন কারত ছেলেদেরও। শুধু যে হিরোর সঙ্গে হিরোর সদ্ভাব ছিল এমনটা নয়, বরং সকলের মধ্যেই মন ভাল করা সম্পর্ক ছিল। যেমন?
জিতেন্দ্র ছিলেন সেই সময়ের ডান্সিং হিরো, কিন্তু তাঁর ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় ছিল দেখার মত। যেমন, পরিচয়। এই ছবির মধ্যে দিয়েই যেন এক ভিন্ন জিতেন্দ্র আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। ছবির পরিচালক ছিলেন গুলজার। তাঁর প্রতি ইন্ডাস্ট্রির যে শ্রদ্ধা সেটি বলে বোঝানোর দরকার নেই। তবে, জিতেন্দ্রর কাছে তিনি ছিলেন ভগবানের মত। ছবিতে অভিনয় করেছিলেন জয়া বচ্চনও। গুলজারের প্রতি জিতেন্দ্রর যে অমোঘ শ্রদ্ধা সেকথাই জানিয়েছিলেন মেয়ে এক্তা।
আরও পড়ুন < যেন প্রাণেরও বেশি কাছের, মৃত্যুর কয়েকদিন আগেই বোন আশাকে ‘অমূল্য’ উপহার দেন লতা >
টেলিভিশন কুইন একসময় বলেন," আমার বাবা একজন নামকরা হিরোদের মধ্যে ছিলেন। তাঁকে সবাই ভালবাসত, শ্রদ্ধা করত। আমরা তথাকথিত ফিল্মি বাড়ির ছেলেমেয়ে। কিন্তু, আমার মা 'পরিচয়' ছবির পরে একটি কথা বলেছিলেন যা আমি কোনোদিন ভুলব না।"
আরও পড়ুন < মুখস্থ করতে হত না স্ক্রিপ্ট, কানের কাছে ফিসফিসিয়ে শট বোঝাতেন সত্যজিৎ রায় >
তথাকথিত, পাঞ্জাবি এবং সিন্ধ্রি বাড়িতে মেয়েরা পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন না। এই নিয়ম নেই। মেয়েরা থাকবেন মনের মধ্যে, পায়ে হাত দেবেন না। কিন্তু, জীতেন্দ্রর স্ত্রী এক্তাকে একজনের পা ছুঁয়ে প্রণাম করার কথা বলেছিলেন। তিনি হলেন গুলজার সাহেব। এক্তা বলেন, "আমার মা আমায় বলেছিলেন, কোনওদিন যদি গুলজার সাহেবকে সামনে পাও ওঁর পা ছুঁয়ে প্রণাম করো। কারণ, উনি তোমার বাবার গুরু!"
মায়ের এই কথা কোনোদিন ভোলেন নি এক্তা। তাই তো, একদিন তাঁকে সামনে পেয়েও ঢিপ করে প্রণাম করেন তিনি। গুলজারকে বলে দিতেও হয়নি যে তিনি জিতেন্দ্রর কন্যা। এক ঝলক দেখে চিনতে পেরে যান।