২০১৮-র শুরুটাই দীপিকা পাড়ুকোন করেছিলেন 'পদ্মাবতের' মতো ছবিতে অভিনয় করে। বহু বিতর্ক থাকা সত্ত্বেও শেষপর্যন্ত দর্শক মনে ছাপ রাখতে পেরেছিল এই ছবি। বিশাল ভরদ্বাজের পরিচালনায় 'পিকুর' সহ অভিনেতা ইরফান খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে পরবর্তী কাজের জন্য তৈরি হলেও তা পিছিয়ে যায় ইরফানের শারীরিক অসুস্থতার কারণে। এখনও তিনি তাঁর নতুন প্রজেক্ট নিয়ে কোনও কথা বলেননি।
চেন্নাইয়ের একটি অনুষ্ঠানে বলিউডের যে ট্রেন্ডের পরিবর্তন হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল দীপিকা পাড়ুকোনকে। তিনি স্বীকার করলেন এখন বলিউডে অত্যাধিক বায়োপিক তৈরি হচ্ছে এবং অনেক সময় কিছু বিষয় পুনরাবৃত্তিও হচ্ছে। 'দ্য হিন্দুকে' দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, "আমার মনে হয় প্রচুর বায়োপিক তৈরি হচ্ছে বলিউডে। বিগত কিছু মাসে আমি গুণে শেষ করতে পারব না কতগুলো বায়োপিক করার অফার পেয়েছি। এবং প্রত্যেকটার চিত্রনাট্যই ভীষণ ভাল। তবে সিনেমার প্রশ্নে একটা সময়ের পর, ইতিহাসের সংগ্রাম গাথা আমাকে আর কত শোনাবেন? আমায় যদি জিজ্ঞেস করেন তো বলব সাধরাণ মানুষেরও একই কথা মনে হয়।"
আরও পড়ুন, ছোট ছোট জিনিসে প্রেম খুঁজে পান বরুণ ধাওয়ান ও অনুষ্কা শর্মা
এখন যেন বায়োপিকের মরসুম বলিউডে। ২০১৮-য় দর্শক যে কটা ছবি দেখেছেন, তা হয় বায়োপিক নয়ত কোনও সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি। 'সনজু', 'সুরমা', 'পরমাণু', 'রাজি', 'প্যাডম্যান', এই সমস্ত ছবির চিত্রনাট্য সত্যি ঘটনার ভিত্তিতে সাজানো। তবে ছবি তৈরির ক্ষেত্রে বায়োপিকের যা প্রাচুর্য, তাতে মনে হয়না খুব তাড়াতড়ি এই ট্রেন্ড শেষ হবে। আর যা যা ছবি ইতিমধ্যেই ঘোষনা করা হয়েছে তার মধ্যে 'মনিকর্নিকা', ' সুপার থার্টি ', 'দ্য অভিনব বিন্দ্রা বায়োপিক' এবং 'শাকিলা '। সনজু তো অনেক রেকর্ডও তৈরি করেছে, যে ইঙ্গিত থেকেই বোঝা যাচ্ছে এটা বায়োপিকের সময়।