আমাদের পেশায় ঝুঁকি আছে, কিন্তু ভালোবাসলে ঠিক হয়ে যায়: মেখলা
Mekhla Dasgupta: সা রে গা মা পা-র মঞ্চ থেকে পেশাদার গায়িকা, এবার নতুন অধ্যায় শুরু করেছেন মেখলা দাশগুপ্ত। নিজেই নিজের গান বাঁধছেন। নিজের সুরে তাঁর প্রথম গান প্রশংসিতও হয়েছে সর্বত্র।
Mekhla Dasgupta: সা রে গা মা পা-র মঞ্চ থেকে পেশাদার গায়িকা, এবার নতুন অধ্যায় শুরু করেছেন মেখলা দাশগুপ্ত। নিজেই নিজের গান বাঁধছেন। নিজের সুরে তাঁর প্রথম গান প্রশংসিতও হয়েছে সর্বত্র।
Singer Mekhla Dasgupta turns composer: টেলিদর্শক সা রে গা মা পা মঞ্চে তাঁর গান শুনে মুগ্ধ হয়েছিলেন। কিন্তু শুধু গায়িকা নয়, মেখলার স্বপ্ন ছিল আরও অনেকটা বড়। সেই স্বপ্নের দিকে প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। গায়িকা থেকে হয়েছেন সুরকার। তাঁর সাম্প্রতিক কাজ ও সা রে গা মা পা অধ্যায়, দুই নিয়েই আড্ডা দিলেন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-র সঙ্গে।
Advertisment
পুজো তো এসেই গেল, তোমার পুজোর প্ল্যান দিয়ে আড্ডা শুরু করা যাক...
আমাদের তো প্রত্যেক বছরই বিভিন্ন জায়গায় শো থাকে। আগের বছর ইউএসএ-তে গিয়েছিলাম। তার আগের বছর গিয়েছিলাম বেঙ্গালুরুতে। আর এই বছর শো করতে যাব দিল্লিতে। আর দুদিন থাকব কলকাতায়। (মেখলার কণ্ঠে মায়ের আবাহন শুনে নিতে পারেন নীচের লিঙ্কে ক্লিক করে)
সা রে গা মা পা-তে যখন তুমি প্রতিযোগী ছিলে, তখন আর এখনের মধ্যে কতটা পার্থক্য? যতটা আশা করেছিলে, ততটা কি পেলে?
মানুষের আশা তো প্রচুর থাকে। সব সময় তো সব সম্ভব হয় না। কিন্তু সা রে গা মা পা-তে আসার আগে আমি জানতাম না, গান নিয়ে কোথায় কী করতে হবে, কোথায় রেকর্ডিং হয়, কোথায় যেতে হয়, কিচ্ছু বুঝতে পারতাম না। সা রে গা মা পা-র দৌলতে প্রচুর মানুষের সঙ্গে আলাপ হয়েছে, অনেক মিউজিশিয়ানের সঙ্গে আলাপ হয়েছে। এখন যখন নিজের প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছি, তখন কার কাছে গেলে কোন কাজটা হবে, সেটা অনেকটাই বুঝতে পারছি।
সা রে গা মা পা-তে আসার আগে আমি জানতাম না, কোথায় কী হবে, কোথায় রেকর্ডিং হয়, কিচ্ছু বুঝতে পারতাম না। ছবি: মেখলার ফেসবুক পেজ থেকে
তার মানে ওই প্ল্যাটফর্মটা তোমাকে অনেকটা সাহায্য করেছে...
অবশ্যই। আমার জীবনে সা রে গা মা পা একটা লাইফ চেঞ্জিং ফেজ। বলে না, ফরিশতা... আমার জীবনে সা রে গা মা পা ফরিশতার মতো।
ওখানে সবচেয়ে ভালো বন্ধু কে হয়েছিল, যার সঙ্গে এখনও যোগাযোগ আছে?
অনেকেই আছে। আমার আসলে এমনি বন্ধু খুব কম। আমি ওখানেও সকালবেলা উঠে দৌড়োদৌড়ি করতাম, গান করতাম। সবাই গল্পটল্প করত, আমি একটু নিজের মতো থাকতাম। তবে অনেকের সঙ্গেই যোগাযোগ আছে এখনও।
আমার জীবনের যেটা উদ্দেশ্য ছিল... বলে না যে জীবনের পারপাস, সেটা আমি খুঁজে পেয়েছি। ছবি: মেখলার ফেসবুক পেজ থেকে
তারা সবাই আগে ছিল সা রে গা মা পা-র প্রতিযোগী, এখন তো তারা তোমার পেশাগত জীবনে প্রতিদ্বন্দ্বী, সেটা নিয়ে কিছু মনে হয় তোমার?
দেখো একটা হেলদি কম্পিটিশন তো সব সময়েই থাকা ভালো। নাহলে সবাই একটু অলস হয়ে যায়। কিন্তু কম্পিটিশন আবার অতিরিক্ত হয়ে গেলে সেটা খারাপ। এমনি বন্ধু, সবাই খুব ভালো বন্ধু।
সামনে কী কী কাজ করছ?
আমি প্লেব্যাক করছি টুকটাক, সিনেমায়, সিরিয়ালে। এছাড়া আমার জীবনের যেটা উদ্দেশ্য ছিল... বলে না যে জীবনের পারপাস, সেটা আমি খুঁজে পেয়েছি। আমি নিজে সুর দিই, গান বানাতে ভালোবাসি। আমি আমার নিজের প্রজেক্ট নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছি, আমার নিজের গান। একটু টাইম লাগছে কারণ নিখুঁত ভাবে করতে গেলে একটু টাইম লাগে। নিজের কম্পোজিশন, নতুন কম্পোজিশন নিয়ে কাজ করছি বেসিকালি। আমার প্রথম কম্পোজিশন রিলিজ করেছে কিছুদিন আগে। অনেকেই বলেছেন যে খুব ভালো লেগেছে। আমরা তো বেশিরভাগ অন্য শিল্পীদের গান গাই, সেখানে দাঁড়িয়ে কেউ যখন বলে যে তোমার সৃষ্টি ভালো লেগেছে, সেটা একটা অন্য রকম পাওয়া।
আর কী কী নতুন গান আসছে?
এছাড়া ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তের সুরে একটা গান করেছি। যেটার ভিডিওটা এখনও হয়নি। ভিডিওটা হলে আমি রিলিজ করব।
এই পেশাটা কতটা নির্ভরযোগ্য, শুধুমাত্র গান করে কি সারভাইভ করা যায়?
হ্যাঁ অবশ্যই। যে কোনও প্রফেশনের ক্ষেত্রেই মূল ব্যাপার হল, তোমাকে প্রফেশনটা ভালোবাসতে হবে। আমি যেমন গানটা প্রচণ্ড রকম ভালোবাসি। আমাদের প্রফেশন খুবই রিস্কি, এটাই সত্যি। কখনও সোজা পথে যাবে না। সরকারি চাকরি বা ফিক্সড ইনকামের কোনও চাকরির মতো ব্যাপার তো নয়। কিন্তু ভালোবাসলে ঠিক হয়ে যায়। কথায় বলে না, যে খায় চিনি, তাঁকে জোগান চিন্তামণি। ওরকমই ব্যাপার।