মহালয়া মানেই ভোর হতেই মহিষাসুরমর্দিনী আর তার সঙ্গে আকাশে বাতাসে পুজোর গন্ধ। সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক শুভেচ্ছা বার্তা তারকাদের। মহালয়া মানেই পুজো আর কদিন। আদ্যোপান্ত বাঙালি মানে এদিন ভোর চারটেয় ঘুম ভাঙ্গবে। মীর একেবারেই তার ব্যতিক্রম নন।
Advertisment
দীর্ঘদিন কাজ করেছেন রেডিওতে, এই জগতের প্রতি তার ভালবাসা আলাদাই। কিন্তু বেলা গড়াতেই এক অনুরাগীর আবদারে আপ্লুত রেডিও ম্যান। সেই অনুরাগীর আবদার মীর দার গলায় চণ্ডীপাঠ শুনতে চাই। এই আবদারের উত্তরে কী বললেন মীর?
মহালয়ায় বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের সেই দরাজ গলার চণ্ডীপাঠ না শুনলে বাঙালির পুজো পুজো ভাব আসে না। এদিকে, মীরের সঙ্গেও বাঙালির সকাল শুরু হত একেবারে অন্যরকম ভাবে। সকাল ম্যান ছাড়া কেউ আড়মোড়া ভাঙ্গবে এ যেন ভাবাই যেত না। সেই অনুরাগী সহজ ভাষায় লিখলেন, অনেকেই আমায় তেরে আসবে। হয়তো ত্রিশূলের খোঁচাও মারবে। যাদের অনুভূতি আঘাত হবে আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী। তবে আমি একথা অবশ্যই বলতে চাই মীর দার ভরাট কণ্ঠে ইমোশন অ্যাক্টিং সব আছে। ওর কণ্ঠে একবার চণ্ডীপাঠ শোনার ইচ্ছে রইল। উনি একবার ট্রাই করে দেখতে পারেন।
এই মন্তব্য নজর এড়াল না মীরের। বললেন, ধৃষ্টতা নেই আমার। মার্জনা করবেন, তবে আপনি যে আমায় নিয়ে এটা ভেবেছেন সেটাই বড় প্রাপ্তি আমার কাছে। এদিকে, এতদিনের সুপ্ত ইচ্ছে একে একে প্রকাশ করলেন অনেকেই। হাজার রকম ভাবে মীরকে অনুরোধ করলেন সকলে। তাদের কথায় পাঠক এবং শ্রোতার কোনও ধর্ম হয় না। আপনি একবার ট্রাই করেই দেখুন। বেশিরভাগের বক্তব্য, দলে আমরাও আছি, শুনতে চাই।
নজরুলের শ্যামা সঙ্গীত হোক কিংবা রফি সাহেবের কৃষ্ণ ভজন - সম্প্রীতির ভারতে এ দৃশ্য আগেও দেখা গিয়েছে। ঈশ্বরের কাছে সবাই সমান, তার উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা হোক কিংবা ইবাদত, মীর ভক্তদের বক্তব্য ধর্ম নয়, নিষ্ঠা এবং ভক্তিই আসল।