শওকত কাইফি, শুক্রবার ৯২ বছর বয়সে মুম্বইয়ে তাঁর জুহুর বাসভবনে প্রয়াত হলেন তিনি। ইন্ডিয়ান পিপলস থিয়েটার অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে একজন ছিলেন তিনি এবং পগ্রেসিভ রাইটারস অ্যাসোসিয়েশনেরও সদস্য ছিলেন শওকত কাইফি। বার্ধক্যজনিত সমস্যায় দীর্ঘদিন ভুগছিলেন তিনি। বিখ্যাত উর্দু কবি ও গীতিকার কাইফি আজমির স্ত্রী ছিলেন শওকত। রেখে গেলেন তাঁর সন্তানদের- মেয়ে শাবানা আজমি ও ছেলে বাবা আজমি।
থিয়েটার অভিনেতা ও পরিচালক এম কে রায়না বলেন, পগ্রেসিভ মুভমেন্টের সময়কাল এবং সংস্কৃতি ওঁর সঙ্গেই চলে গেল। তিনিই শেষ জীবিত শিল্পী ছিলেন যিনি আইপিটিএ আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি সেই মানুষদের জন্য দুর্দান্ত অনুপ্রেরণা ছিলেন যারা মুম্বইয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসতেন বা স্বামী কাইফি আজমির সঙ্গে তিনি আইপিটিএ বৈঠক করতে গেলে দেখা করতেন। বহু বছর আগে আমাকে জয়পুর ও পাটনায় এমন দুটি বৈঠকে আমন্ত্রণ জানান হয়েছিল। তিনি মঞ্চে এবং পর্দার অন্যতম সেরা অভিনেত্রী ছিলেন। আপনি যদি তাঁর জীবনের দিকে ফিরে তাকান, আপনি বুঝতে পারবেন যে তাঁরা (শওকত এবং কাইফি) তাদের জীবনের প্রথম দিকে কী ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন। "
শওকত কাইফি আইপিটি-এ বহু নাটকে অভিনয় করেছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য আজার কা খোয়াব এবং তনহায়ি। আইপিটিএর-র আগে পৃথবী থিয়েটার দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন শওকত। ‘উমরাও জান’, ‘সলাম বম্বে’র মতো ছবিতেও দেখা গিয়েছে শওকত কাইফিকে।
Read the full story in English