পরিচালক-চিত্রনাট্যকার বাসু চট্টোপাধ্যায়ের জীবনাবসান। ছোটি সি বাত, রজনীগন্ধা, বাতো বাতো ম্যায়, এক রুকা হুয়া ফ্যায়সলা এবং চামেলি কি শাদি-র মতো ছবি তৈরি করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ে প্রয়াত হলেন পরিচালক। বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর।
পরিচালক এবং ভারতীয় ফিল্ম ও টেলিভিশন পরিচালক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অশোক পণ্ডিত টুইট করে জানিয়েছেন এই খবর। তিনি লেখেন, "কিংবদন্তি চলচ্চিত্র নির্মাতা বসু চ্যাটার্জীর প্রয়াণে আমরা গভীরভাবে দুঃখিত। আজ দুপুর ২ টায় সান্তাক্রুজ শ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। সিনেমার জগতের অপূরণীয় ক্ষতি। আমাদের আপনাকে মনে পড়বে।"
পরিচালকের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইট করে তিনি লেখেন, বর্ষীয়ান ও কিংবদন্তি পরিচালক বাসু চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণে আমরা শোকাহত। ছোটি সি বাত, রজনীগন্ধা, ব্যোমকেশ বক্সী, রজনী-র মতো ছবি উপহার দিয়েছেন। তাঁর পরিবার, বন্ধু ও বিনোদন জগতের শুভান্যুধায়ীদের প্রতি সমবেদনা।
আরও পড়ুন, বাসু চ্যাটার্জি আমাদের মত চরিত্রের জন্ম দিয়েছিলেন
বাসু ভট্টাচার্য ও হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের সমসাময়িক চলচ্চিত্র পরিচালক ছিলেন বাসু চট্টোপাধ্যায়। এরা প্রত্যেকেই সেই সময়ের প্রবাদপ্রতিম পরিচালক ছিলেন। হিন্দি সিনেমার পাশাপাশি বাংলা ছবিতেও কাজ করেছেন তিনি। সত্তরের অ্যাংরি ইয়ং ম্যান ও অ্যাকশন সিনেমার সময়কালে তাঁর বাস্তবোচিত ছবি নজড় কেড়েছিল। অমল পালেকরের সঙ্গে ছোটি সি বাত, রজনীগন্ধার মতো ছবিতে কাজ করেছেন।
বলিউডের সুপারস্টারদের নিয়ে কাজ করলেও তাদের সম্পূর্ণ আলাদাভাবে দেখিয়েছেন তিনি। মনজিল ছবিতে অমিতাভ বচ্চন, চক্রব্যূহ ছবিতে রাজেশ খান্না, মনপসন্দ ছবিতে দেব আনন্দ, পসন্দ আপনি আপনি ও শওকিন-এ মিঠুন চক্রবর্তীর চরিত্রায়ন তাক লাগিয়ে দেয়।
১৯৮৬ সালে এক রুকা হুয়া ফ্যায়সলা ছিল টুয়েলভ অ্যাংরি ম্যান-এর ভারতীয় সংস্করণ, যা আজও জনপ্রিয়। দূরদর্শনের প্রথমদিকে দুটি টেলিভিশন শো পরিচালনা করেছিলেন বাসু চট্টোপাধ্যায়, ব্যোমকেশ বক্সী ও রজনী। ১৯৯২ সালে দুর্গা ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার পান তিনি। বাসু চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকাহত বলিউড।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন