উইচ ক্রাফ্ট অর্থাৎ তন্ত্রসাধনার পীঠস্থান বলা চলে বাংলাকে। প্যারানরম্যাল অ্যাক্টিভিটি, ব্ল্যাকম্যাজিক, পূর্ণজন্ম কত কী জড়িয়ে রয়েছে এর সঙ্গে। যদিও এর সত্যতা বা বিজ্ঞানে ভর করে কাজ করেন না জ্যোতিষিরা। সত্যির অবগত করতে চাননা সাধারণ মানুষকে, আর এখান থেকে হারাচ্ছে দুয়ের মধ্যেকার সমতা। এই তন্ত্রসাধানার বিজ্ঞানকেই সামনে আনার চেষ্টায় পরিচালক রাজর্ষি দে। ছবির নাম পূর্ব পশ্চিম দক্ষিণ, উত্তর আসবেই। অভীক সরকারের বেস্ট সেলার ছোট গল্পের বই 'এবং ইনকুইজিশন'-এর তিনটি গল্পের ওপর তৈরি হতে চলেছে এই ছবি।
মানবী বন্দ্যোপাধ্যায় ও রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত।
পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ''আজকাল তো প্রত্যেকটা স্যাটেলাইট চ্যানেলে জ্যোতিষি বসেন, খবরের কাগজে দেখা যায় নানা ধরনের বিজ্ঞাপন। মানুষ তো এগুলো গ্রহণ করছে। সিরিয়ালে পুরাণ কথার আড়ালে ম্যাজিক রিয়্যালিজমগুলো তো বুঝছে তাহলে ছবিটার দর্শক রয়েছে''। তিনটে গল্পের বক্তা পর্দায় কলমেশ্বর মুখোপাধ্যায় ও অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়। ছবির শেষে এই দুজনের জন্যই চমকে যেতে হবে। ছবিতে কৃষ্ণচন্দ্র অগমবাগীশের ভূমিকায় রয়েছেন পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর সময়ের এই চরিত্রকে টাইমট্রাভেলে নিয়ে আসা হবে ছবিতে।
আরও পড়ুন, চলচ্চিত্র উৎসবে মমতা ভজনা! ভবিষ্যৎ কি আগেই দেখে ফেলেছিলেন অনীক দত্ত?
সুচন্দ্রা ভানিয়া এই ছবির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছে। এমনকি পূর্ব পশ্চিম দক্ষিণের প্রযোজকও তিনি।
তিনটি নেতিবাচক চরিত্রে রাজেশ শর্মা, আরিয়ান ভৌমিক ও ঈশিকা দে। গৌরব চক্রবর্তী, বিদীপ্তা দাশগুপ্ত, পদ্মনাভ দাশগুপ্ত, দামিনী বসুরাও রয়েছেন এই ছবিতে। সুচন্দ্রা ভানিয়া এই ছবির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছে। এমনকি পূর্ব পশ্চিম দক্ষিণের প্রযোজকও তিনি। সাত খুন মাফ, পটাকা, অপরাজিতা তুমি,অবশেষে মতো ছবির সিনেমাটোগ্রাফার রঞ্জন পালিত রয়েছেন এই ছবির ক্যামেরার নেপথ্যে। আরও একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল প্রথমবার বড়পর্দায় আসছেন মানবী বন্দ্যোপাধ্যায়। অনেকদিন পর পর্দায় দেখা যাবে রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তকেও।
সম্প্রতি শুভ নববর্ষের শুটিংয়ের কাজ শেষ করেছেন রাজর্ষি তারই মধ্যে ঘোষনা করলেন নতুন ছবির। দর্শক কতটা এই ছবিকে গ্রহণ করে এখন অপেক্ষা তারই।