উত্তর কলকাতার মেস বাড়ি মানেই অজানা এক অনুভূতি। শহরের সরু গলি পেরিয়ে এক একটা ঘরে কয়েকজন একসঙ্গে মিলে থাকার যে কি অসাধারণ অনুভূতি, যে উপভোগ করেছে সেই জানে। এমনই এক মেস বাড়ির গল্প নিয়েই বাংলার প্রথম সিটকম সিরিজ 'পাঁচফোড়নস'। নামেই বোঝা যাচ্ছে, একই ধাঁচে ভিন্ন স্বাদ। গতকালই রিলিজ হয় সিরিজের পোস্টার।
Advertisment
উত্তর কলকাতার এক মেস বাড়ির বৃদ্ধ বাড়িওয়ালা ধনেশ্বর পাচাল নিজের দুনিয়াতেই মত্য, পছন্দের তালিকায় আর পাঁচটা বাঙালির মতই - বাংলা সিরিয়াল এবং বাংলা মদ। এদিকে তার বাড়িতেই থাকে পাঁচ নতুন প্রজন্মের ছেলেপুলে। প্রত্যেকের পেশা যেমন ভিন্ন তেমনই বাড়ির নিয়ম রক্ষার বিষয়েও ধনেশ্বর বাবু বেজায় কঠোর। ধনেশ্বর পাচালের চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেতা পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভাড়াটে তো বসালেন, কিন্তু তাদের কাজকর্মের চোটে নাজেহাল অবস্থা পাড়া শুদ্ধ সকলের। প্রথম জন জিকো - পেশায় একজন গিটারিস্ট এবং ভোকালিস্ট, তার গানের চোটে গোটা পাড়ার মানুষের উন্মাদ হওয়ার সম্ভাবনা। আবার সে নিত্যনতুন মেয়েদের প্রেমে পড়তেও ওস্তাদ। দ্বিতীয় জন প্রভু! হ্যাঁ, নামই প্রভু - পেশায় একজন রিসার্চার তথা বিজ্ঞানী। শান্ত স্বভাবের, মেয়েদের থেকে দশ হাত দূরে তবে বেশ উপকারী, সকলের বিপদে এই প্রভুই কিন্তু আসল প্রভু। সোনি একজন চিত্রগ্রাহক, বাড়ির বাইরেই তার ঠাঁই বেশি, ঘণ্টায় একটা মাত্র কথা এবং ছবি তোলাই রাত দিনের নেশা। ক্যাফেবয় মহেন্দ্র আদতে ভীষণ ভীতু। গ্রামের সহজ সরল ছেলে কলকাতা শহরে এসে যা হয়, সারাক্ষণ শুধু চাকরি হারানোর ভয়, থুড়ি! সারাদিন শুধু চাকরি যাবে, এই হুমকি শুনেই ভয়ে একসার। অন্যদিকে এদের মাঝে অভিনেতা প্রদীপ রাত দিন অভিনয়ের অডিশন দিলেও চুরি করতে তার জুড়ি মেলা ভার। স্বভাবে বেশ রাগী। কায়দার ঠেলায় চোখ কপালে উঠে যাওয়ার জোগাড়- তারপরেও নাকি চুরি!
Advertisment
ধনেশ্বর বাবু আদতে বেশ নিয়ম মেনেই চলেন। মেস বাড়ির বাইরেই টাঙিয়েছেন নিয়মের তালিকা। তাতে একটি বিষয় পরিষ্কার - কোনও নারী এই বাড়িতে ঢুকবে না, তার প্রবেশ নিষেধ। অল্প বয়সী ছেলেদের প্রেমিকা থাকুক কিংবা বন্ধু - এসব কান্ড কারখানা একটু আধটু হয়েই থাকে। তাই আগে থেকেই সেফ সাইডে থাকতে চান তিনি। এই পঞ্চরত্নকে নিয়েই পরিচালক ইন্দ্রনীল বন্দোপাধ্যায়ের নতুন সিরিজ পাঁচফোড়নস। ভাড়াটিয়া ছেলেদের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন, অর্ক ভট্টাচার্য, সাম্য সমাদ্দার, সুমিত প্রামাণিক, শুভাশীষ সিকদার, শৌনক রায়। সিরিজটি খুব শিগগিরিই দেখা যাবে মোজোপ্লেক্স ওটিটি তে।