Chandramouli Biswas death: নতুন বছরের শুরুতেই একের পর এক খারাপ খবর। সেদিন রাতে যখন খবর এল ফসিলসের লিড গিটারিস্ট চন্দ্রমৌলি এর নেই, সেদিন কল্যাণীতে শো ছিল ব্যান্ডের। স্টেজে উঠেই রূপম বলেছিলেন, এমন দিন দেখতে হবে, এমন দিনেও গাইতে হবে, ভাবতেও পারেননি কোনোদিন। চন্দ্র যাকে অনেক সঙ্গীত প্রেমীরা ভালবাসেন, যারা তাঁর গুণগ্রাহী তারা বেশ শোকাহত এই ঘটনায়।
কিন্তু, সমাজ মাধ্যমে নানা ঘটনা শোনা যাচ্ছে। কেউ বললেন, একসময় রূপম ( Rupam Islam ) নিজেই নাকি নতুন একজনকে ব্যান্ডে সুযোগ দেওয়ার জন্য তাঁকে বের করেছিলেন। কেউ কেউ এমনও জিজ্ঞেস করেছিলেন, রূপম চাইলে তাঁকে কাজের সুযোগ দিতে পারতেন। কারণ, চন্দ্রমৌলী নাকি কাজের অভাব এবং অর্থের অভাবে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। তাঁর মৃতদেহের সঙ্গে মিলেছে সুইসাইড নোটও। আর এবার, যত প্রশ্ন এবং যত অভিযোগ উঠছে ফসিলস ( Fossils ) ও রূপমের বিরুদ্ধে, সেই নিয়েই লিখলেন রূপসা।
তিনি তাঁর সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করলেন এমন কিছু মন্তব্য। যেখানে তিনি জানিয়েছেন, চন্দ্রর মানসিক অবস্থা সম্পর্কে তিনি জানতেন। শুধু তাই না, তাঁরা নাকি চেষ্টাও করেছিলেন। রূপমের স্ত্রী লিখছেন... "আমরা চেষ্টা করেছিলাম। আমি করেছিলাম। ব্যান্ডের তরফে চেষ্টা করা হয়েছিল। আমরা ওকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম যে ওর সাহায্য লাগবে। একবার তো ওকে রাজি করিয়ে একজন চিকিৎসকের অ্যাপয়েনমেন্ট পর্যন্ত ফিক্স করেছিলাম। ও যায়নি। বরং ওর বাবা মা এবং বোন সকলে ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। ওর একটি রোগ ছিল। আমরা অপেক্ষায় ছিলাম। ২০১৯ পর্যন্ত ওর ফেরার আশায় ছিলাম।"
এরপরই রূপসা বলেন, রীতিমতো সুইসাইডের কথা নাকি বলতেন চন্দ্র। মেসেজ পাঠান ব্যান্ডের সদস্যদের কাছেও। রূপসার কথায়, "২০২৪ সালে ও রিহ্যাবে যায়। তাঁর আগে ও আমাদের আত্মহননের হুমকি দিত। ওর বাবা মাকে আমরা সবটা জানাই। এমনকি ওর সঙ্গে দেখা করে মিউজিকের প্রতি ওকে মন দিতে বলি। এখানেই শেষ না। ও যখন ২০২৩ সালে কিছুদিনের জন্য নিখোঁজ হয়ে গেল, আমরা ওকে খোজার চেষ্টা করেছি। আর কী করব? আর কী কী করার আছে আমাদের?"
উল্লেখ্য, চন্দ্রমৌলি কিছুদিন পাহাড়ে গিয়ে একটি স্কুলে মিউজিক শিখিয়েছিলেন। কিন্তু, ব্যান্ডের সদস্য হওয়ার পাশাপাশি তাঁর একটি রোগ ছিল, যাকে চিকিৎসাবিদ্যায় - Canabis induced Psychosis বলা হয়। এরপরও সে সঠিক জায়গায় যায়নি বলেই জানিয়েছেন রূপসা।