চতুর্থ দফা ভোটের (West Bengal Assembly Election 2021) ৪৮ ঘণ্টা আগে ভবানীপুর (Bhawanipur) বিধানসভা কেন্দ্রে ধুন্ধুমার তৃণমূল-বিজেপির। বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষের (Rudranil Ghosh) ফ্লেক্স-ব্যানার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাতে রীতিমতো রণক্ষেত্রে পরিণত হয় চেতলা। পুলিশের কাঠগড়ায় দুই পক্ষই। এবার তার প্রেক্ষিতেই বিক্ষোভের ১২ ঘণ্টা পর তৃণমূল-বিজেপি উভয়পক্ষেরই ৪ জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। সূত্রের খবর, তাঁদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলাও দায়ের হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এদিন ইটবৃষ্টি, সবুজ-গেরুয়া দুই শিবিরের কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষ তুমুল পর্যায়ে পৌঁছয়। একাধিক গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। অবরুদ্ধ হয়ে যায় গোটা এলাকা। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দীর্ঘক্ষণ চেতলা থানায় বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল ও বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। রাখালদাস আঢ্য রোড ও চেতলা সেন্ট্রাল রোডের সংযোগস্থলে ধুন্ধুমার বাঁধে। খবর করতে গিয়ে আক্রান্ত হন সাংবাদিকরাও। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় গোটা এলাকাজুড়ে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দীর্ঘক্ষণ চেতলা থানায় বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল ও বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। পরে পরিস্থিতি আয়ত্তে এলেও এখনও থমথমে চেতলা। বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষের নিশানায় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। ফিরহাদের অনুগামীরাই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছেন রুদ্রনীল।
বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীলের কথায়, “হার নিশ্চিত জেনেই ফিরহাদ হাকিমের নির্দেশে এই হামলা চালিয়েছে তৃণমূল কর্মীরা। প্রায় ২৫০ জন মিলে হামলা চালায়। মহিলাদের ধর্ষণের হুমকিও দেওয়া হয়। মহিলারা রুখে না দাঁড়ালে ভয়ংকর কিছু হতে পারত।” পালটা দিয়েছে রাজ্যের শাসক দলও। তৃণমূলের অভিযোগ, “বহিরাগত দুষ্কৃতীদের এনে এলাকায় অশান্তি ছড়াচ্ছে বিজেপি।”
অন্যদিকে সূত্রের খবর, চেতলা ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের যুব প্রেসিডেন্ট পিটার মুখোপাধ্যায়। তাঁর ছেলেরাই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। সেই পিটার মুখোপাধ্যায়-সহ ৪জনকেই আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।