Bollywood: ৯ বছর বয়সেই অনাথ, বন্ধুদের কটু মন্তব্যে জেরবার! এই গায়কের অসহনীয় জীবন যাত্রা..

বাবা-মা আর বোনেরা না থাকায় করণ প্রায় চার বছর একা ছিলেন পাঞ্জাবের বাড়িতে। কাকা-কাকিমা দু-বেলা খাবার দিলেও, নিঃসঙ্গতাই ছিল তাঁর নিত্যসঙ্গী। এই দুঃখকে তিনি কলমের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেন।

বাবা-মা আর বোনেরা না থাকায় করণ প্রায় চার বছর একা ছিলেন পাঞ্জাবের বাড়িতে। কাকা-কাকিমা দু-বেলা খাবার দিলেও, নিঃসঙ্গতাই ছিল তাঁর নিত্যসঙ্গী। এই দুঃখকে তিনি কলমের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেন।

author-image
IE Bangla Entertainment Desk
New Update
karan

যা বললেন তিনি...


 পাঞ্জাব থেকে বহু কিংবদন্তি গায়ক জন্ম নিয়েছেন। তবে আজকের দিনে করণ আউজলা নামটি বিশেষভাবে আলোচিত, যিনি ভারতীয়-কানাডিয়ান শিল্পী হয়েও, বিশ্বমঞ্চে তুমুল খ্যাতি পেয়েছেন। কোটি ভক্তের হৃদয়ে তিনি সেনসেশন হলেও তাঁর যাত্রাপথ মোটেই সহজ ছিল না। নয় বছর বয়সে বাবা-মাকে হারানো থেকে শুরু করে একা কানাডায় যাওয়া- করণের জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে ছিল সংগ্রাম আর কষ্ট, যা তাঁকে আরও দৃঢ় করেছে।

শৈশবের বেদনা: বাবা-মায়ের মৃত্যু 

Advertisment

করণ ছোটবেলায় সুখী পরিবারে থাকতেন বাবা-মা ও দুই বোনের সঙ্গে। কিন্তু ২০০৬ সালে এক দুর্ঘটনায় তাঁর বাবার মৃত্যু সবকিছু পাল্টে দেয়। পরে বোনেরা কানাডায় বিয়ে করে চলে যান। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০১১ সালে মাকেও হারান করণ। তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৪। হঠাৎ করেই মানুষে ভরা বাড়িটি ফাঁকা হয়ে যায়। স্কুলে পড়তে গিয়েও তিনি দিশাহারা হয়ে যেতেন। বন্ধুরা যা মুখে আসত তাই বলত তাঁকে- যা ছোট্ট করণের জন্য ছিল অসহনীয় আঘাত।

একাকিত্বে বেড়ে ওঠা

বাবা-মা আর বোনেরা না থাকায় করণ প্রায় চার বছর একা ছিলেন পাঞ্জাবের বাড়িতে। কাকা-কাকিমা দু-বেলা খাবার দিলেও, নিঃসঙ্গতাই ছিল তাঁর নিত্যসঙ্গী। এই দুঃখকে তিনি কলমের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেন। প্রথম লিখেছিলেন, বিষণ্ণ এক গান, যেখানে লিখেছিলেন “আমি বাঁচতে চাই না।” ধীরে ধীরে তিনি বুঝলেন, তাঁর লেখার মধ্যেই ছন্দ আছে, আর সেখান থেকেই শুরু গান রচনার পথ।

কানাডায় নতুন জীবন

Advertisment

২০১৪ সালে একা বিমানে চড়ে কানাডায় যান বোনদের কাছে। জীবনের প্রথম ফ্লাইটে কানেক্টিং বিমানের নিয়মই জানতেন না, তবুও নিজেই সব সামলান। পাঞ্জাব ছেড়ে আসার সময় চোখের জল আর ধরে রাখতে পারেননি।

শোষণ আর লড়াই

শুরুতে তিনি অন্য গায়কের জন্য গান লিখতেন। অনেক সময় টাকা পেতেন না, আবার নামও উল্লেখ করা হতো না। এই অভিজ্ঞতা তাঁকে সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করে- শুধু গীতিকার নয়, নিজেকেই হতে হবে গায়ক, যাতে তাঁর কণ্ঠে লেখা পৌঁছে যায় মানুষের কাছে।

খ্যাতির পথে

জ্যাসি গিলের সঙ্গে কাজ করে শুরু হয় করণের পেশাদার যাত্রা। দীপ জান্ডু, এলি মাঙ্গাতদের জন্য গান লিখলেও, ২০১৬ সালে Property of Punjab অ্যালবামে প্রধান শিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। একের পর এক হিট গান- Yaarian Ch Fikk, Unity, Alcohol 2, Lafaafe তাঁকে ঘরে ঘরে পরিচিত করে তোলে।

২০১৮ সালে “Don’t Worry” তাঁকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেয়। পরে-  Jhanjar, Red Eyes, So Far, Kya Baat Aa গানগুলো চার্টবাস্টার হয়। সম্প্রতি ভিকি কৌশল অভিনীত Bad Newz ছবিতে “Tauba Tauba” গানটি ব্যাপক হিট হয়েছে, যেখানে করণ নিজেও মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করেছেন।

অনুপ্রেরণা শাহরুখ খান

করণের কাছে শাহরুখ খান এক বিশেষ মানুষ। তিনিও ছোটবেলায় বাবা-মা হারিয়েছিলেন, কিন্তু বিশ্বের অন্যতম বড় তারকা হয়েছেন। আবুধাবিতে আইফা-তে প্রথমবার শাহরুখের সঙ্গে দেখা করে করণ এতটাই মুগ্ধ হন- "তিনি এমনভাবে ব্যবহার করেন যেন আপনিই রাজা।"

ভক্তদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা 

ভক্তদের ভালোবাসা যেমন সীমাহীন, তেমনি কখনও কখনও তা অদ্ভুতও হয়ে ওঠে। করণ স্মরণ করেন, লন্ডনের এক কনসার্টে তাঁর মুখে জুতা ছুঁড়ে মারা হয়েছিল। প্রথমে অপমান ভেবেছিলেন, পরে জানতে পারেন ভক্ত আসলে তাঁর কাছে জুতায় সই চেয়েছিলেন! 

Entertainment News Today Entertainment News