বলিউড মানেই বিতর্ক! আর বিতর্ক মানেই সিনে দুনিয়ার গন্ডগোল। বিতর্ক আর যাই হোক, পিছু ছাড়বে না বলিউডের। নানা সময়ে এমন কিছু রিলিজ হয়েছে, যে কারণে বলিউডে বারবার বিতর্ক ঘিরে ফিরে এসেছে। সেই বিতর্কের মুখ্য ভূমিকায় কখনও ছবির নায়ক নায়িকা, আবার কখনও ছবির নাম আবার কখনও ছবির প্রেক্ষাপট। কিন্তু...
কোন কোন বলিউডের ছবিগুলি নিয়ে ভয়ঙ্কর বিতর্ক হয়েছে এক সময়? যা আজও মানুষের মনে আছে? একটু খেয়াল করতে দেখা যাবে বেশ কিছু ছবি তাঁর নামের কারণেই গণ্ডগোলের মুখে পড়েছিল। যেমন...
পদ্মাবত: শুরুর দিকে নাম রাখা হয়েছিল পদ্মাবতী। কিন্তু, এত ভয়ঙ্কর মাত্রায় এই ছবি রোষানলে পড়ে, ট্রেলার রিলিজ করার পর। শুধু তাই নয়, রাজস্থানের কিছু রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় গ্রুপ দাবি করে, যে এই ছবিতে ভারতের ইতিহাসকে ভুল দেখানো হয়েছে, এমনকি রানী পদ্মাবতীর যে বলিদান, সেই নিয়েও অন্য গল্প রচনা করা হয়েছে। ছবির কারণে পরিচালক এবং অভিনেত্রী দুজনেই খুনের হুমকি পর্যন্ত পেয়েছেন। যদিও, এরপর ছবি রিলিজের পর সেই গল্প একদম পাল্টে যায়।
পাঠান: দীপিকা পাড়ুকোন এবং শাহরুখ খান অভিনীত এই ছবি নামের সঙ্গে সঙ্গে আরও সমস্যায় পরে, দীপিকার পোশাকের কারণে। এই ছবিতে বেশরম রং গানে দীপিকা গেরুয়া রঙের একটি বিকিনি পড়ার পরেই শুরু হয় বিতর্ক। যদিও, অনেকেই বলেন, পোশাকের কবে থেকে রং হয়? কিন্তু, কিছু কিছু জায়গায় এই ছবি রিলিজের ক্ষেত্রেও অশান্তি করা হয়।
লিপস্টিক আন্ডার মাই বুরখা: এই ছবির বিদেশের বুকে দারুণ প্রশংসা হয়েছিল। কিন্তু ভারতীয় ফিল্ম সার্টিফিকেশন বোর্ডের তরফে মহিলা কেন্দ্রিক এই ছবি নিয়ে নানা বিতর্ক হয়। লিঙ্গবৈষম্যতার বিপরীতে কথা বলেছিল এই ছবি। এবং নারী উত্থানের এই গল্প বেশ সমস্যাদায়ক বলে ঘোষণা করা হয়।
গালিয়ন কী রাসলীলা - রামলীলা: ফের একবার সঞ্জয় লীলা বনসালির ছবি। যদিও এই ছবির পূর্বের নাম ছিল রামলীলা। কিন্তু, এই ছবির নাম নিয়েই দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করা হয়। শুধু তাই নয়, এই ছবিতে রামলীলার নামে যৌনতা এবং ভায়োলেন্স দেখানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
ওহ মাই গড: ভারতের মানুষ ধর্ম নিয়ে ভীষণ স্পর্শকাতর। কিছু একটু এদিক ওদিক হলেই তাঁরা নড়েচড়ে বসেন। এই ছবিতে বেশ কিছু উল্টো রীতিনীতি দেখানো হয়েছিল, যেকরণেই সমস্যা আরও বাড়তে থাকে। শুধু তাই নয়, জনগণের রোষে পরে এই ছবিটি।
দ্যা ডার্টি পিকচার: বিদ্যা বালানের স্ট্রং অভিনয়ের অন্যতম এই ছবিটি। বিতর্কিত নায়িকা সিল্ক স্মিতার জীবনের ওপর ভিত্তি করে এই ছবি বানানো হয়। এবং এই ছবিতে সেই নায়িকার জীবন ঘিরে যেসমস্ত তথ্য দেখানো হয়েছে সেটির কারণেই তাঁর ভাইয়েরা কেস ফাইল করে।
দ্যা কেরালা স্টোরি: সহজ ভাষায় এই ছবিতে প্রোপাগান্ডা ছবি হিসেবেই দাগিয়ে দেওয়া হয়। দাবি করা হয়, এই ছবিতে সেই সত্যি দেখানো হয়েছে, যেটা আগে ধরা পড়েনি। প্রায় ৩২ হাজার মেয়েকে বাধ্য করা হয় isis এ জয়েন করতে। এবং তাঁর রাতারাতি গায়েব হয়ে যায়। ট্রেলার রিলিজের পর, এই ছবি নিয়ে বিরাট বিতর্ক হয়।