Singers Last Song Before Death: মৃত্যুর মত বাস্তব নিষ্ঠুর বোধহয় কিছুই নেই। মৃত্যু এমন এক কঠিন সত্যি, যা সব কিছুকে ফিকে করে দিয়ে চলে যায়। মৃত্যুই কাউকে ছোঁয় না, এমনটা না। আর শিল্পীদের যখন মৃত্যু ছুঁয়েছে, তখনো শেষ অধ্যায়ে শিল্পের ধারাবাহিকতা বজায় থেকেই যায়। সৃষ্টি করতে করতেই শিল্পীর শেষ হয়। যদিও বা, আদৌ শিল্পীর মৃত্যু আছে কিনা, সেই নিয়েও সন্দেহ আছে। কারণ, যারা সৃষ্টি করেন, তাঁদের আর যাই হোক মৃত্যু হয় না।
কিন্তু, সারা বিশ্ব জুড়ে এত মানুষ আছেন, এত শিল্পী আছেন তাঁরা তাঁদের জীবনের শেষ সময়ে, বা শেষ দিনগুলোতে কী কী গান রচনা করেছেন জানেন? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে শুরু করে পুলক বন্দোপাধ্যায় কিংবা বর্তমান প্রজন্মের সেনসেশন কেকে, কোন গানটা শেষ গাইলেন তারা?
১. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর: তিনি জীবনে বহু মৃত্যু দেখেছেন। এমন তিনি ভালবেসেছেন, ঠিক তেমনই তিনি প্রেমে ছিলেন। রবি ঠাকুর জীবনে এত কষ্ট পেয়েছেন, যে বিচ্ছেদের গান সবথেকে বেশি রচনা করেছেন। তাঁর শেষ রচিত গান - "তুমি রবে নীরবে। গানটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত একটি বিখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত। এই গানটি তাঁর জীবনের শেষ পর্বে রচিত হয়েছিল।
Avneet Kaur: বিরাটের একটা মাত্র লাইক, যেভাবে অবনীতের সবকিছু উল্টেপাল্…
২. পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়: প্রখ্যাত গীতিকার পুলক বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৯৯ সালে আত্মহত্যার আগে “আবার হবে তো দেখা” গানটি রচনা করেন। এই গানটি বিদায়ের সুরে ভরা, যা তাঁর জীবনের শেষ অনুভূতিগুলোকে আরও বেশি করে প্রকাশ করেছিল। এই গান শুনলে চোখের জল আটকে রাখা সম্ভব না।
৩. মান্না দে: গায়কের শেষ ইচ্ছা ছিল, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত গান রেকর্ড করবেন তিনি। এবং সেটাই করেছিলেন। মান্না দে তাঁর স্ত্রীর স্মৃতিতে চারটি রবীন্দ্রসংগীত রেকর্ড করার পরিকল্পনা করেছিলেন। তবে, স্বাস্থ্যের অবনতির কারণে তিনি তা সম্পন্ন করতে পারেননি। তাঁর শেষ রেকর্ড করা গান ছিল, শ্রাবণী মণ্ডলের অ্যালবাম “কেমন আছো তুমি এখন”-এ দুটি গান।
Director-Actor Death: মারণরোগ কেড়ে নিল অভিনেতা-পরিচালকের প্রাণ, তাঁ…
৪. কেকে: কলকাতায় এসেছিলেন শো করতে। তারপর আর ফিরে যাওয়া হয়নি। এবং তিনি শেষ গান গেয়েছিলেন, ইয়ে পল.. বন্ধুত্বের এই বিশেষ গান তিনি শেষবারের মত গেয়েই চলে গিয়েছিলেন না ফেরার দেশে। এমনিও তাঁর এই গান দারুণ জনপ্রিয় প্রথম থেকেই।