আগে ছিল টিকটক আর এখন সময় ইনস্টাগ্রাম রিলের। বিষয়বস্তু আগা-মাথা না মেনেই ভিডিও বানিয়ে ফেললেই হল আর তাতে কোটি কোটি ভিউসের অন্ত নেই। এমনকি ছোট ছোট শিশুদের ভিডিওতে এমন কিছু অশ্লিল গান যোগ করা হয় যা সত্যিই অবাক করার মত। 'বাধাই হো' খ্যাত অভিনেতা গজরাজ রাও এই ভাবনাকে পরিস্ফুট করেই আপত্তি জানিয়েছেন।
পাগলামির একটা অন্ত আছে! এই মন্তব্য করেই প্রথম ইনস্টাগ্রাম রিলের অদ্ভুত প্রয়োগের ওপর আওয়াজ তোলেন প্রসাদ ভাট। তার বক্তব্য আমাদের সত্যিই কি কোনও অসুবিধে নেই এই ধরনের ভিডিও গুলিতে। একটি অল্পবয়সি বাচ্চা হোক কিংবা বয়স্ক মানুষ প্রত্যেকেরই ভেবে চিন্তেই সব কাজ করা উচিত। শুধু তাই নয় পরিবারের সকল সদস্যের এই বিষয়ে নিমিত্ত ভাবনা চিন্তা রাখা উচিত তবেই শিশুরা শিখবে এই প্রসঙ্গেও দাবি রাখেন তিনি। এসব না করে সূর্য নমস্কার কীভাবে করতে হয় সেটা শেখানো অনেক ভাল। নিজেদের ভিডিওর ভিউস বাড়াতে ঠিক কতটা নিচে নামতে পারে মানুষ এই দেখেই হতভম্ব প্রসাদ।
প্রসাদের পরেই, ভিডিওটি নিজের ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেন গজরাজ রাও। তিনিও যে এই বিষয়ে একেবারেই সহমত তা সকলের সামনেই বুঝিয়ে দিয়েছেন। শিশুদের মুখে কোন শব্দ মানায় আর কোনটি না সেই প্রসঙ্গে তাদের ধারণা না থাকলেও বাবা মা এবং বাড়ির বড়দের যথেষ্টই থাকে। পিতা মাতার উদ্দেশ্যে উভয়ের বক্তব্য, “ কোনও গান দিয়ে ইনস্টাগ্রাম রিল বানানোর আগে আপনারা আদৌ দেখেন বা শব্দের মানে গুলো পরে নেন? তারপরেও কি ভিত্তিতে এই ভিডিও গুলি বানান? সমাজে কি চলছে এসব?" একথা একেবারেই সত্যিই ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুক ওয়াচ হাবিজাবি ভিডিওতে একেবারেই ভরে গেছে। মাথামুন্ডু নেই শুধু একটি গান এবং গুটি চারেক ফিল্টার দিয়েই হাজার হাজার ভিউস যেন হাতের পাঁচ আঙুলের সমান। অন্তত শিশুদের তো এসব থেকে বাইরে রাখুন, এই বক্তব্য বারবার ফুটে উঠেছে এই ভিডিওতে।
সেলেবদের অনেকেই এই বিষয়ে সহমত জ্ঞাপন করেছেন! রেশমী দেশাই থেকে রিচা চাড্ডা এবং মুক্তি মোহন। তাদের সকলেরই বক্তব্য কেন এবং কি জন্য বাবা-মায়েরা নিজেরাই এই বিষয়গুলিকে প্রশ্রয় দেন সেটি ভাবনাতীত। একটি ছোট শিশুকে যখন এসব গানে নাচতে দেখেন খুবই অবাক লাগে। তার সঙ্গে যেকোনও পেশার সঙ্গে জড়িত মানুষের এরকম আচরণ এবং সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে নাচ-গান করে মনোরঞ্জন করার বিষয়টি বিস্মিত করে তাদের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন