সময় বদলাচ্ছে, বদলাচ্ছি আমরাও। বস্তাপচা টিভি সিরিয়াল ছেড়ে তাই এখন ওয়েব সিরিজই ভরসা। বাড়ির টিভিসেটে জমতে থাকা ধুলো তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ। মুঠোবন্দি স্মার্টফোনে সওয়ার হয়ে আমরা এখন পাড়ি দিই খেলার মাঠ থেকে ঝাঁ চকচকে ওয়েব সিরিজের জগতে। যদি আপনি এখনও টিভি সিরিয়ালেই চোখ এঁটে বসে, তাহলে পরখ করেই দেখুন যেকোন বাজারচলতি ওয়েব সিরিজে। একবারেই মালুম পাবেন, 'কী জিনিস হারাচ্চেন গুরু।' উদাহরণ হিসেবে থাক গেম অফ থ্রোনসের নামই। এইচবিও'র এই ওয়েব সিরিজ দুনিয়া কাঁপাচ্ছে শুরুর দিন থেকেই। আটটি সিরিজের এই শো'টি প্রতিদিন ১ কোটির ও বেশী মানুষ দেখেছেন বলে দাবি করা হয়। এবার এর জনপ্রিয়তা আটকে থাকল না শুধু মুঠোফোন জগতেই।
বইসেডেভের একটি রিপোর্টের দাবি, এবার গেম অফ থ্রোনসের চরিত্রদের নামে নামকরণ করা হচ্ছে বিভিন্ন রাস্তার। রিপোর্টের দাবি অনুযায়ী আমেরিকার ইডাহো প্রদেশের বইসে অঞ্চলের একটি আবাসনের বিভিন্ন রাস্তার নামকরণ করা হচ্ছে ব্যারাথন স্ট্রিট, রিকন স্ট্রিট ইত্যাদি নামে।
প্রোজেক্টটির মুখ্য দায়িত্বে থাকা ইঞ্জিনিয়ার জেনিল হল সম্প্রতি একটি ইন্টারভিউয়ে বলেন, আমি একজন গিক। এবং অন্যান্য গিকদের মতই আমিও গেম অফ থ্রোনসের ভক্ত। স্বাভাবিকভাবেই রাস্তার নামকরণ করার সময়েও মাথায় ঘুরছিল এই ওয়েব সিরিজেরই কথা।
রাস্তার নামের তালিকায় আর্য প্লেস, গ্রেজয় রোড, জোরা আভিনিউ, পডরিক ওয়ে, সান্সা স্ট্রীট এবং টাইরিয়ন কোর্ট জাতীয় নামও আছে।
প্রসঙ্গত, গেম অফ থ্রোনস নামক অয়েভ সিরিজটি জর্জ আর আর মার্টিনের লেখা এ সং অফ আইস এন্ড ফায়ার নামক উপন্যাসের অবলম্বনে তৈরি করা হয়েছে। এইচবিও টিভির প্রযোজনায় তৈরি করা এই সিরিজটি আমেরিকায় প্রথম দেখানো হয় ২০১১ সালের ১৭ই এপ্রিল এবং এর শেষ ও অষ্টম সিরিজটি দেখানো হবে আগামী বছর।
শুরুর দিন থেকেই এর উন্মাদনা ছিল বিপুল। ২০১২ সালে বিটটরেন্ট নামক টরেন্ট ওয়েবসাইটে একটি এপিসোড প্রায় ৪২ লক্ষ মানুষ ডাউনলোড করেন। গেম অফ থ্রোনসের জনপ্রিয়তাকে মাথায় রেখে চারটি ভিডিও গেম ও তৈরী করা হয়েছে ইতিমধ্যেই।