'গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি' মামলায় পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালি এবং অভিনেত্রী আলিয়া ভাটকে স্বস্তি দিল বম্বে হাইকোর্ট (Bombay HC)। মানহানির মামলা দায়ের হয়েছিল দুই তারকার বিরুদ্ধে। তবে বৃহস্পতিবার সেই মামলার অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করল আদালত। পাশাপাশি এই ছবি মুক্তিতেও কোনওরকম বাঁধা রইল না।
প্রসঙ্গত, সঞ্জয়লীলা বনশালির (Sanjay Leela Bhansali) বহু প্রতীক্ষিত ছবি ‘গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি’। আলিয়া ভাটকে নিয়ে এই ছবির কথা ঘোষণার পর থেকেই সিনেদর্শকদের উন্মাদনার অন্ত নেই! লকডাউনে দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ থাকার পর অবশেষে নিউ নর্ম্যালে সিনেমার কাজ শুরু করেছিলেন পরিচালক। তবে তার মাঝেই গত ডিসেম্বর মাসে আইনি বিপাকে জড়াতে হয়েছিল বনশালি-আলিয়াকে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ‘গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি’র (Gangubai Kathiawadi) জীবনকাহিনিকে ভুলভাবে তুলে ধরছেন তাঁরা। যার ফলে দর্শকরা বিভ্রান্ত হতে পারেন। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই আলিয়া ভাট (Alia Bhatt) ও সঞ্জয়লীলা বনশালির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন বাবুজি শাহ।
<আরও পড়ুন: প্রথম দিনই অনলাইনে ফাঁস অক্ষয় অভিনীত ‘বেলবটম’! হুড়োহুড়ি ‘আক্কি’-অনুরাগীদের>
বাবুজি শাহ দাবি করেছেন, তিনি গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ির দত্তকপুত্র। শাহর অভিযোগ, এই সিনেমায় বনশালি নাকি তাঁর মায়ের জীবনকাহিনিকে ভ্রান্তভাবে দেখানোর চেষ্টা করছেন। এমন অভিযোগ তুলে বম্বে সিভিল কোর্টে আলিয়া ভাট, বনশালির পাশাপাশি ‘মাফিয়া ক্যুইনস অফ মুম্বই’ বইটির লেখক হোসেন জায়দির বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করেছিলেন তিনি। যে বইয়ের উপর ভিত্তি করেই তৈরি হচ্ছে বনশালির সিনেমা। অন্যদিকে, ভাট-বনশালিদের আইনজীবী জানিয়েছিলেন যে, তাঁরা চেনেন না বাবুজি শাহকে।
উল্লেখ্য, গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়িকে মুম্বইয়ের 'মাফিয়া ক্যুইন' বলা হয়। কারণ একটাই, তাঁর পেশার অন্তরালে বড়সড় ডন-মাফিয়াদের সঙ্গে তাঁর ওঠাবসা ছিল। কারণ, কম বয়সেই জীবন তাঁকে এক অভিজ্ঞতার সাক্ষী করেছিল। মাত্র পাঁচশ টাকার বিনিময়ে পতিতাপল্লীতে তাঁকে বিক্রি করে দিয়েছিল স্বামী। সেই থেকেই অন্যভাবে পথ চলা শুরু হয় গাঙ্গুবাইয়ের। সেই নারীর জীবনকাহিনিই পর্দায় তুলে ধরতে চলেছেন বনশালি। তবে সিনেমা মুক্তি পাওয়ার আগেই আইনি বিপাকে জড়াতে হল সঞ্জয় লীলা বনশালি ও আলিয়া ভাটকে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন