/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/25/geeta-bali-mala-sinha-2025-09-25-18-49-27.jpg)
কে এই অভিনেত্রী...
বলিউডে রাজ কাপুর, মধুবালা, ভরত ভূষণ কিংবা তনুজার মতো তারকাদের প্রথম সুযোগ করে দিয়েছিলেন কিংবদন্তি পরিচালক কেদার শর্মা। শুধু তাই নয়, গীতা বালি ও মালা সিনহার কেরিয়ার শুরুর পিছনেও ছিলেন তিনিই।
শর্মা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তরুণী গীতা একদিন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন এবং নিজের ‘মেয়ে’ হিসেবে এক কিশোরীকে পরিচয় করিয়ে দেন- তিনি ছিলেন মালা সিনহা। আসলে গীতা নিজেও তখন বেশ কম বয়সী। গীতা অনুরোধ করেছিলেন, মালাকে আগে প্রশিক্ষণ দিয়ে তারপর কাস্ট করতে। শর্মা তখনই রাজি হন এবং শীঘ্রই বুঝতে পারেন মালা প্রতিভাবান, আন্তরিক এবং পরিশ্রমী। এমনকি রিহার্সাল চলাকালীন মালার আর্থিক অনটনের কথা শুনে কেদার শর্মা মনের দিক থেকে বেশ বিধ্বস্ত হয়ে পড়েন।
কিছুদিন পর গীতা এসে জানতে চান মালার অগ্রগতি কেমন। শর্মা মালাকে একটি দৃশ্য অভিনয় করতে বলেন। মালা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে অভিনয় করেন, কিন্তু গীতা সেটি দেখে ভেঙে পড়েন। তিনি কাঁদতে কাঁদতে ঘরে নিজেকে আটকে ফেলেন। পরে কেদার শর্মাকে বলেন- "আমি তো আপনাকে শুধু এটুকু বলেছিলাম ওকে শিখিয়ে দিন, কিন্তু এতটাও নয় যে আমার আর প্রয়োজনই না থাকে।"
এই ঈর্ষা সত্ত্বেও গীতার নিজের যাত্রাটিও নাটকীয় ছিল। একসময় তিনি রাতারাতি তারকা হন, আবার কাজ হারিয়ে কেদার শর্মার কাছে ফিরে আসেন। 'রঙ্গিন রাতেন' ছবিতে তিনি একটি সহায়ক চরিত্রে অভিনয় করেন। পরে শাম্মী কাপুরকে বিয়ে করেন এবং চলচ্চিত্র থেকে সরে দাঁনাড়। দুর্ভাগ্যবশত, মাত্র ৩৪ বছর বয়সে গুটিবসন্তে তাঁর মৃত্যু হয়।
কেদার শর্মা আরও স্মরণ করেছিলেন গীতার সঙ্গে তাঁর প্রথম সাক্ষাৎ। নৃত্যগুরু জ্ঞানশঙ্করের অনুরোধে তিনি গীতার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। এক অন্ধ বাবার মেয়ে, দারিদ্র্যের মধ্যে বেড়ে ওঠা সেই কিশোরীই ছিলেন গীতা বালি। শর্মার কথায়, 'তিনি শিক্ষিত ছিলেন না, একেবারে শূন্য থেকে উঠে এসেছিলেন। কিন্তু তাঁর ভেতরে ছিল প্রবল ইচ্ছাশক্তি। আমি প্রথম দেখাতেই বুঝেছিলাম- এই মেয়েটিই বড় হবে।'