/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/19/img-20250919-wa0014-2025-09-19-18-58-54.jpg)
যা যা বললেন গীতা.. Photograph: (File)
২০১৫ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন হরভজন সিং ও গীতা বসরা। পরের বছর, ২০১৬-তে জন্ম হয় তাদের কন্যা হিনায়ার। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে গীতা খোলাখুলি জানিয়েছেন, মেয়ের জন্মের পর তিনি দু’বার গর্ভপাতের শিকার হন এবং সেই অভিজ্ঞতা তার শারীরিক ও মানসিক জীবনে কতটা প্রভাব ফেলেছিল, তা শব্দে প্রকাশ করতে পারবে না। তিনি আরও শেয়ার করেছেন, সেই কঠিন সময়ে কীভাবে হরভজন পাথরের মতো তার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।
কঠিন অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে গীতা জানান, সবসময়ই তিনি দুই সন্তানের মা হতে চেয়েছিলেন। প্রথমবার মাতৃত্বের অভিজ্ঞতা বেশ সহজ ছিল বলেই দ্বিতীয়বার কোনও সমস্যার মুখোমুখি হবেন না—এমনটাই ভেবেছিলেন। তাঁর কথায়, “আমি দু’বার চেষ্টা করেছিলাম, আর দু’বারই গর্ভপাত হয়েছিল। তখন নিজেকে প্রশ্ন করতাম, আমি তো সুস্থ, যোগব্যায়াম করি, সঠিক খাবার খাই, তবে কেন সন্তানকে ধরে রাখতে পারলাম না? কেন বারবার গর্ভপাত হলো?”
তিনি আরও বলেন, এই ধাক্কা তার কাছে ছিল অপ্রত্যাশিত। “হিনায়ার সময় কোনও জটিলতা হয়নি, গর্ভাবস্থাও মসৃণ ছিল। তাই যখন তিন বছর পর আবার গর্ভবতী হলাম এবং গর্ভপাত হলো, একেবারেই কল্পনা করিনি, এমনটা হবে।"
সন্তান হারানোর কষ্ট একজন মা ছাড়া কেউ বুঝবেন না। তাই তো, গীতা বলেন, “এটা খুব কঠিন সময় ছিল, কিন্তু মানসিকভাবে শক্ত থাকা ছাড়া উপায় নেই।” সেই সময়ে হরভজনের ভূমিকা তুলে ধরে তিনি বলেন, “প্রথম গর্ভপাতের সময় ও পাঞ্জাবে ছিল। পরের দিনই উড়ে চলে এসেছিল। হাসপাতালে ছোট্ট একটি অস্ত্রোপচার করতে হয়েছিল, আর ও পুরোটা সময় আমার পাশে ছিল।”
এর আগেও এক সাক্ষাৎকারে গীতা শেয়ার করেছিলেন তাদের প্রেমের গল্প। তিনি জানান, হরভজন প্রথমবার তাকে একটি পোস্টারে দেখে প্রেমে পড়েন এবং যুবরাজ সিং-এর কাছ থেকে তার নম্বর চান। গীতার কথায়, “ওর জন্য এটা ছিল প্রথম দেখাতেই প্রেম। তবে হ্যাঁ বলতে আমার ১০ মাস লেগেছিল। আমি ওকে বলেছিলাম, যেদিন তুমি ৩০০ উইকেট পাবে, সেদিন আমি রাজি হব। কয়েকদিনের মধ্যেই ও সেই রেকর্ড গড়ে ফেলল। তখনই ভাবলাম। চেষ্টা করে দেখি।”
তিনি যোগ করেন, “আমার সব বন্ধুরাই বলেছিল, ও খুব ভালো মানুষ। তারকা হয়েও তারকাসুলভ আচরণ নেই। ভীষণ বিনয়ী, আর যেহেতু ও-ও পাঞ্জাবি, আমার পরিবারের সঙ্গে সহজে মিশে যেতে পেরেছে। আমার নানী তো শুধু পাঞ্জাবিতেই কথা বলেন।”