Govinda Suffers Bullet Injury: কলকাতায় আসার আগেই গুলিবিদ্ধ হয়ে রক্তাক্ত গোবিন্দা, ভর্তি ICU-তে, কীভাবে এই ভয়ঙ্কর অবস্থা হল?

Govinda Bullet Injury: বলিউড অভিনেতা ও শিবসেনা (শিণ্ডে গোষ্ঠী) নেতা গোবিন্দ পায়ে গুলির চোট পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মুম্বই পুলিশকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, তাঁর নিজের রিভলভারের গুলির আঘাতে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।

হিরো নম্বর ওয়ান খ্যাত অভিনেতা বর্তমানে ক্রিটিকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, এবং পুলিশ তাঁর অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করার পর ঘটনাটি তদন্ত করছে। খবর অনুযায়ী, দুর্ঘটনাটি ঘটে ভোর ৪:৪৫ মিনিটে ঘটে, তখন ৬০ বছর বয়সী গোবিন্দা কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন।

indianexpress.com-এর সঙ্গে একটি কথোপকথনে, তাঁর স্ত্রী সুনিতা আহুজা বলেছেন যে অভিনেতা স্থিতিশীল এবং চিকিৎসা চলছে। সুনিতা, যিনি মুম্বাই ফিরছিলেন, জানিয়েছেন যে তিনি সরাসরি হাসপাতালে যাচ্ছেন। আদৌ দুর্ঘটনা নাকি গুলিকাণ্ডের পিছনে কোনও রহস্য আছে তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

আরও পড়ুন গোপন আবদার করেছিলেন স্ত্রী সুনিতা, সেকথা মা-কেও জানিয়েছিলেন গোবিন্দা!

গোবিন্দের ভাগ্নে, কৌতুক অভিনেতা কৃষ্ণা অভিষেক, যিনি বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছেন, তিনিও বলেছেন যে অভিনেতা সুস্থ হচ্ছেন এবং এখন স্থিতিশীল।

গোবিন্দের ঘনিষ্ঠ সহযোগী শশী সিনহা নিশ্চিত করেছেন যে গোবিন্দ ভালো আছেন। তিনি ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেস ডটকমকে বলেন, “তিনি বিপদমুক্ত এবং ভালো আছেন। ঘটনাটি ঘটার সময়ে তিনি কলকাতার উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। তিনি তাঁর লাইসেন্স করা রিভলভারটি আলমারিতে ঠিকমতো রেখেছিলেন যখন সেটি মাটিতে পড়ে যায়। রিভলভারটি ধরার সময়ে, ভুলবশত গুলি বেরিয়ে যায়। চোট লাগে বাঁ হাঁটুর নিচে। গুলি পা থেকে বের করা হয়েছে। হাসপাতালে তাঁর মেয়ে টিনা উপস্থিত রয়েছেন। তিনি সবার সঙ্গে কথা বলছেন এবং গোবিন্দা ঠিক আছেন।

কী বলেছেন গোবিন্দার মেয়ে?

গোবিন্দের মেয়ে টিনা আহুজা ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেস ডটকমকে বলেন, “আমি বর্তমানে বাবার সঙ্গে আইসিইউতে আছি। আমি এই মুহূর্তে বেশি কথা বলতে পারছি না… তবে আমি আশ্বস্ত করতে চাই যে বাবার স্বাস্থ্য এখন অনেক ভাল। বুলেটের আঘাতের পরে, বাবার অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল এবং এটি সফল হয়েছে। সব পরীক্ষাই ডাক্তাররা করেছেন, রিপোর্ট ভাল।"

“পাপা অন্তত ২৪ ঘন্টা আইসিইউতে থাকবেন। ২৪ ঘন্টা পরে, ডাক্তাররা সিদ্ধান্ত নেবেন বাবাকে আইসিইউতে রাখবেন কি না। ডাক্তাররা ক্রমাগত বাবার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন; চিন্তা করার দরকার নেই।”