Govinda: স্ত্রী সুনীতা আহুজার বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে চর্চা থেকে প্রাক্তন ম্যানেজারের মৃত্যু, পেজ ৩ খবরের শিরোনামে গোবিন্দা। মুকেশ খান্নার ইউটিউব চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেতা ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলেন। ইন্ডাস্ট্রির প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, একটা সময় তাঁর বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। গোবিন্দার অকপট স্বীকারোক্তি, যদি কিংবদন্তী অভিনেতা দিলীপ কুমারের সঙ্গে দেখা না হত তাহলে বলিউড তাঁকে কাজের চাপে মেরে ফেলত।
একটা সময় যখন গোবিন্দার ঝুলিতে কোনও সিনেমা ছিল না তখন তাঁকে নিয়ে প্রবল চর্চা হয়েছে। সেই সময় ১০০ কোটির ছবির প্রস্তাবও ফিরিয়ে অনুশোচনা করেছেন। আয়নার সামনে দাঁড়য়ে নিজের গালে নিজে চড় মেরেছেন। তবে দিলীপ কুমারের সানিধ্যে এসে কী ভাবে জীবন বদলে গিয়েছিল সেই গল্প বলেছেন গোবিন্দা।
মুকেশ খান্নাকে তিনি বলেন, 'আমি দিলীপ সাবের শিষ্য। আমার যদি দিলীপ সাবের সঙ্গে দেখা না হত ওঁরা আমাকে মেরে ফেলতেন। দিলীপ সাব আমাকে রীতিমতো ২৫টি ছবি ছেড়ে দিতে বাধ্য করেছিলেন। আমি বলেছিলাম, স্যার সিনেমাগুলো ছেড়ে দিলে আমাকে পকেট থেকে টাকা দিতে হবে। উনি আমাকে তখন বলেছিলেন, টাকা আমি জোগাড় করে দেব। তুমি ওঁদের দিয়ে দিও। তবে তোমাকে ২৫ টা ছবি ছেড়ে দিতে হবে। আমার কথা শুনতে পারছ তো? আমি একটাই কথা বলেছিলাম, হ্যাঁ। আমার তখন কোনও ফ্ল্যাট বা বাংলো কেনার কোনও পরিকল্পনা ছিল না। তাই সিনেমাগুলোর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েও ছেড়ে দিই। আমার কাছে ওঁরা জানতে চেয়েছিলেন এইরকম সিদ্ধান্ত গ্রহণের কারণ কী। দিলীপ সাব তোমাকে কী বুঝিয়েছেন?'
আমি ওঁর প্রশংসা করে বলেছিলাম, 'স্যার, উনি খুব ভাল মানুষ। আমার জন্য খুব চিন্তা করেন। মন থেকে আমার ভাল চান। কেউ তো এটা বলে যা যে শরীর খারাপ হলে তুমি মরে যাবে। আমি একটানা ১৬ দিন কাজ করতাম। কখনও আমার স্পটবয় অজ্ঞান হয়ে যেত। কখনও আবার আমিও জ্ঞান হারাতাম। এরপর আর কথা না বাড়িয়ে বলেছিলাম, স্যার আমার শরীরটা ভাল লাগছে না। চলুন ফ্লোরে যাই। তখন উনি বলেন, ও তাই? তুমি তো দেড় দিন পর ঘুম থেকে উঠেছ।'
স্মৃতিচারণা করে বলেন, সেটে দেরি করে পৌঁছানো আমার একদম পছন্দ নয়। আপনি কখনও ধ্রুপদী গানের অনুষ্ঠান দেখেছেন? আমার সুর আর ছন্দ পারফেক্ট না হওয়া পর্যন্ত সেটে যাই না। আজ অবধি আমি এই বিশ্বাসঘাতকতা কখনও করিনি। স্যার, একটা মানুষ ৭৫ টা সিনেমা কখনও করতে পারে না। আমার ঝুলিতে ৪৯টি ছবি ছিল। আমাকে শুটিংয়ের প্রয়োজনে এদিক ওদিক যেতে হত। আমি তো তখন অশিক্ষিত। তখন সিনে দুনিয়ার কিছুই সেভাবে বুঝতাম না। দিলীপ সাবের সঙ্গে দেখা হওয়ার পরই সবটা বুঝেছি। '