বাড়ির মালিক এবং ভাড়াটের সম্পর্ক বেশিরভাগ সময়েই অম্লমধুর। মির্জা এবং বাঁকের নিত্যদিনের তরজাও সেই সম্পর্ককে মনে করায়। বাড়িওয়ালা নিঃসন্তান এবং সারাক্ষণ খিটখিট করছে। ভাড়াটেও কম যায়না, কখনও ঝগড়া করে তো কখনও মির্জাকে তাঁকে দত্তক নেওয়ার কথা বলে, অশান্তি লেগেই আছে।
বাড়িটাকে প্রাণের থেকেও বেশি ভালবাসে অমিতাভ। বাড়ি বিক্রির কথা বললেই বুড়ো হাড়ে অদম্য শক্তি চলে আসে, আয়ুষ্মানও কম যায় না সারাক্ষণ রাগাতে থাকে। সুজিতের এই মজার চিত্রনাট্যের মান বাড়িয়ে দিয়েছেন বিজেন্দ্র কালা, বিজয় রাজের মতো অভিনেতারা।
গুলাবো সিতাবো নিয়ে সংবাদসংস্থা পিটিআইকে সুজিত সরকার বলেছিলেন, আয়ুষ্মান পরিবারের মতো এবং অমিতাভ বচ্চন এখন প্রায় বন্ধু হয়ে গিয়েছেন। অক্টোবরের পর আবার একটা চিত্রনাট্য লিখল জুহি, প্রযোজনার জন্য রণিকেও পেয়ে গেলাম। আমার সিনেমাটোগ্রাফার অভিক মুখোপাধ্যায় ফিরে এসেছে, শান্তনু মিউজিক করছে। আসলে আমরা প্রত্যেকে প্রত্যেককে ভাল বুঝি। ঝগড়া, কথা কাটাকাটি করে ভাল কাজটা বেরিয়ে আসে।
১২ জুন থেকে আমাজন প্রাইমে স্ট্রিমিং হবে গুলাবো সিতাবো। তবে অনলাইনে এই ছবি রিলিজ নিয়ে ঝামেলা কম হয়নি। থিয়েটার মালিকরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। যদিও ছবির দর্শকের আখেরে লাভই হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ট্রেন্ডিং গুলাবো সিতাবো-র ট্রেলার সেই দিকেই ইঙ্গিত করছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন