Gully Boy movie cast: রণবীর সিং, আলিয়া ভাট, সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী, বিজয় রাজ, বিজয় ভর্মা, কল্কি কোয়েচলিন, অম্রুতা সুভাষ, শিবা চাড্ডা
Gully Boy movie director: জোয়া আখতার
Gully Boy movie rating: ৩.৫/৫
গল্লি বয়, একটি তরুণের জীবনকাহিনি যে স্ট্রিট র্যাপের মাধ্যমে মুক্ত হতে চায়। পরিচালিকা জোয়া আখতার চিত্রনাট্যের উপর কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছেন কারণ তাঁর ছবির স্ক্রিপ্ট নিয়ে কাজ করছেন রীমা কাগতি, তবে চারজন তরুণ র্যাপারদের জন্য সংলাপ লিখেছেন বিজয় মৌর্য। একটা লাইনের ওপর ভিত্তি করে চলেছে কাহিনি আর আমাদের এমন একটা ছবি উপহার দিয়েছেন যেখানে সেইসব প্রান্তিক মানুষদের কথা উঠে এসেছে যারা এতদিন মেইনস্ট্রিম বলিউড থেকে অদৃশ্য ছিল। তারা সংখ্যালখু, নিচুজাতি-সেই সমস্ত মানুষ যাদের অভিনব সুসজ্জিত রাস্তা ও ধনী ভারতে যাতায়াত নেই।
মুরাদ (রণবীর), মুম্বাইয়ের বস্তির একটি ছেলে, যার ভাই রয়েছে, সঙ্গে মা (সুভাষ) ও ঠাকুমা। এরা সবাই দেশলাইয়ের বাক্সের আয়তনের একটি বাড়িতে থাকে। মুরাদের অভদ্র বাবা (রাজ), একজন গাড়িচালক, যে তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে আসে, যার বয়স মুরাদের থেকে কিছুটা বেশি। এত কিছুর মধ্যে আশার আলো পাগলের মতো পজেসিভ সফীনা (আলিয়া), যে সারাক্ষণ মুরাদের স্বপ্নকে সমর্থন করে পাশে থাকতে চায়। আর সেকারণেই সমস্তরকম ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যায়, পরবর্তী ধাপে যাওয়ার রাস্তা খুঁজতে থাকে। কিছু কিছু উপাদান পরিচিত মনে হয় (এমিনেমের 'এইট মাইল' তখন মাথার মধ্যে সাঁতার কাটছে) কিন্তু 'গল্লি বয়' মুম্বইয়ের ভাষা, তার একান্ত আপন ছবি।
আরও পড়ুন, মোদীর বায়োপিকে অমিত শাহের ভূমিকায় কে জানেন?
সব অন্ধকার থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য দূত হয়ে আসে র্যাপ। আর তখনই এমসি শেরের (চতুর্বেদী) সঙ্গে সামনাসামনি পারফরমেন্স যেন আর্শীবাদের মতো কাজ করে। মুরাদ সুর ও শব্দে নিজের ব্যথাকে অস্ত্রের মতো ব্যবহার করে। এখানেই রণবীর সিং নিজের চলনভঙ্গীতে রাশ টেনে মুরাদের চরিত্রটা প্রাণবন্ত করেছেন, তাঁর রাগের মধ্যেও কোথাও একটা নম্রতা রয়েছে। মুরাদকে দেখে বোঝা যাচ্ছে সিং তাঁর স্বভাবসিদ্ধ চাঞ্চল্যকে দমন করেছেন, যদিও সেই চেষ্টাটা কখনও কখনও সামনে এসে পড়তে পারে।
আলিয়া ভাট, সফীনার চরিত্রে অনবদ্য। 'ম্যানিক পিক্সি' (জীবনের অপার রহস্যকে কাছে টেনে নেওয়ার জন্য যে চরিত্রায়ণ) হওয়ার জন্য অনেক অধ্যাবসায় করতে হয়েছে অভিনেত্রীকে। নিজের মধ্যে সমস্ত চমকপ্রদ বিষয় বজায় রেখেই সে পড়াশোনার মধ্য দিয়েই কিছু করতে চায়। কল্কি কোয়েচলিন আমেরিকা-ফেরৎ মিউজিক স্কলার, যাঁর বাথরুমও মুরাদের ভাবনার থেকে বড়, কিছু মূহুর্তের জন্য হলেও ছবির অন্যদিকটা দেখার সুযোগ করে দেবে। সুভাষের চরিত্র, বিজয় ভর্মা প্রত্যেকেই দেখার মতো। তবে সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী ছবিটিকে অন্য জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন, তিনি ফ্রেমে থাকলে রণবীর সিংয়ের ওপর থেকেও চোখ সরতে পারে।
আরও পড়ুন, যা করেছি তাতে মিটুর দায়ে পড়ি নি: শত্রুঘ্ন সিনহা
শেষমেশ ছবিটা দেখে আপনি মজা পাবেন। বর্তমান ভারতে মুরাদ বা সফীনাদের মুসলিম হওয়ার উর্দ্ধেও কিছু পরিচয় আছে, যা মূলস্রোতের মানুষ সম্ভবত ভুলে গিয়েছেন। তাঁরা নিজেদের লাইনের এপারের বাসিন্দা ভেবে ওপারের মানুষকে ভুল ভাবেন। তবে এই ছবিটা অত্যন্ত সাহসীকতার কাজ। বলতেই হয়, 'ইনকা টাইম আ গয়া'।
Read the full story in English