''নম্বর এক আর দুই কি? আমি একাই একশো, আমিই সেরা'', উক্তিটা করার সময়ে অদ্ভুত আত্মবিশ্বাস ছিল তার গলায়। শঙ্করের পরিচালনায় 2.0 ছবির সংলাপ ছিল এটা। দুনিয়ায় কাছে আবার তিনি এখন চিটটি, তিনি রজনীকান্ত। বুধবার ৬৮ তে পা রাখলেন দক্ষিণী সুপারস্টার। ছবিতে পক্ষীরাজের ভূমিকায় রয়েছেন অক্ষয় কুমার। তিনি এমন এক অভিনেতা যিনি একবছরে কালা ও 2.0 র মতো ব্লকবাস্টার দিতে পারেন।
তিনিই ভারতকে দেখাতে পারেন সবথেকে বেশি বাজেটের ছবি (৫০০ কোটি) তৈরি করে কীভাবে তার থেকে বেশি ব্যবসা দিতে হয়। আজকের হিসেব অনুযায়ী রজনীকান্তের ছবির আয় ৬০০ কোটি টাকা। 2.0 তে চিটটি বলেছে, ''আপনার স্ক্রিনে আগুন জ্বালিয়ে দেব''। সত্যিই ছবির বক্সঅফিস তাই বলছে। ফ্যানেদের জন্য, রজনীর ছবি শুধুমাত্র সিনেমা নয়। এটা একটা উৎসবের মতো, যা উদযাপন করা যায়। নইলে বাস কনডাক্টর থেকে দক্ষিণের আধিপত্য, আধুনিক ভারতে ইন্টারনেট মেমে, রজনীকান্ত ইতিহাস তৈরির প্রতি পদক্ষেপে আসীন। আক্ষিরকই থালাইভা তিনি।
রজনী দ্য সুপারস্টার। Express archive photo
সালটা ১৯৭৫, অপূর্ব রাগানগাল ছবিতে কমল হাসান মুখ্য চরিত্রে। বিপরীতে এক নতুন মুখ শিবাজী রাও গায়েওয়াড, যিনি আজকের রজনীকান্ত। সীমিত স্ক্রিন টাইম থাকায় দর্শক খেয়াল না করলেও সেদিন পরিচালকদের চোখে পড়েছিলেন এই তরুণ। সেই বছরই বিভিন্ন ছবিতে ভিলেনের চরিত্রে দেখা যায় তাঁকে। এরপর ১৯৭৬, কে বালাচান্দের তাকে কাস্ট করলেন ত্রিকোণ প্রেমের কাহিনিতে, শ্রীদেবী, কমল হাসান ও রজনীকান্ত। ছবি মন্দরু মুদিচ্ছু।
অন্ধা কানুন ছবির সেটে রজনীকান্ত ও অমিতাভ বচ্চন। Express archive photo
আশির দশকের শেষের দিকে জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে থালাইভার। এরপরে টার্নিং পয়েন্ট অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে বিজয় ছবিতে দেখা গেল তামিল সুপারস্টারকে। কলিউডের ব্যাড বয় পরিণত হল হিরোয়। বলিউডে পরে রজনী অভিনীত অন্ধা কানুন, চালবাজ এবং হামের মতো ছবিতে সাফল্য পেলেন তিনি। এরপরে তার চরিত্রের নানা দিক উন্মুক্ত হয়, গ্রামবাসী থেকে ধীরে ধীরে তামিল জাতিসত্ত্বার মুখ, দলিত রাজনীতিতে রবিন হুডের জায়গা নেন। প্রায় চারদশক ধরে একশোরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। তাকে দেখেই পরে হাজার হাজার রজনীকান্ত আর্বিভূত হওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তাও কম পড়ছে ভারতের মতো দেশের জন্য। মেজেসটা সোজা। একা রজনীকান্ত আর কত করবেন, আর পারবেন না।
Read the full story in English