একটা সময় বাংলায় বানিজ্যিক ছবি মানেই ছিল সুপারহিট। গান-বাজনা তাঁর সঙ্গে নায়ক নায়িকার রোমান্স, টলিউডে কমার্শিয়াল ছবির একসময় নিদারুণ লভ্যাংশ ছিল। যদিও, সেই তথাকথিত জনপ্রিয়তা এখন কমেছে। মানুষের ছবির প্রতি ভাবনা অনেকটা বদলেছে।
সেই ছবির যারা কারিগর তাঁদের এখন ইন্ডাস্ট্রিতে কী অবস্থা? হরনাথ চক্রবর্তী থেকে স্বপন সাহা। সেদিন আর্টিস্ট ফোরামের অনুষ্ঠানেও হাজির ছিলেন এরা সকলেই। মাঝে দাঁড়িয়ে প্রসেনজিৎ জানিয়েছিলেন, এরা না থাকলে আমরা হতাম না। হরনাথ চক্রবর্তী মানেই কিছু ধামাকাদার বাংলা ছবি। গোল্ডেন জুবিলি সেলেব্রেশন হত টলিপাড়ায়।
সেই হরনাথ চক্রবর্তীর নতুন ছবি ওহ লাভলি! তাঁর প্রোমোশনেই ব্যাস্ত পরিচালক। এরইমাঝে সংবাদ মাধ্যমের কাছে নিজের মনের কথা ব্যক্ত করলেন তিনি। একসময়ে তাঁর হাত ধরে নতুন সব জুটি-অভিনেতাদের সুযোগ হয়েছিল ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার। কিন্তু আজ তাঁদের তরফেই…। পরিচালক বলেন, "যারা একসময় আমার থেকে উপকৃত হয়েছে তাঁরা আমায় এখন ডাকে না। কিন্তু, তারপরেও আমি কাজ করছি।"
আরও পড়ুন - ‘সাচ্চা বামেদের ভয় পাচ্ছে…’, মৌনতা ভেঙে যাদবপুর কাণ্ডে ‘স্বাধীন-জটিল’ মন্তব্য কমলেশ্বরের
স্ত্রী ক্যানসারে আক্রান্ত। কিন্তু, পরিচালক হিসেবে খুব একটা বেশি কাজ করতে তাঁকে দেখা যায় না। খরচ যোগাবেন কী করে? বললেন, "মুখ্যমন্ত্রীর মেডিক্লেম না থাকলে সম্ভব হত না। এছাড়াও বুম্বা-দেব-জিৎ ওরা আমার পাশে থাকার কথা জানায়"। সাথী থেকে শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ- একের পর এক বিরাট হিট। সেইসব পরিচালকদের আজ খোঁজও নেয় না টলিপাড়া, এমন অভিযোগ করেছিলেন প্রভাত রায়।
সামনেই রিলিজ তাঁর ছবির। মদন মিত্রের সঙ্গেও তাঁর প্রথম কাজ। সেই নিয়েই বিরাট উত্তেজিত পরিচালক। আবারও অনেকদিন পর ইন্ডাস্ট্রির আঁতুড়ঘরে ফিরছেন। তবে, নতুন জুটিকে নিয়েও বেশ আশাবাদী তিনি।