Model Sheetal Choudhary Murder Case: কয়েকদিন আগেই পপুলার পঞ্জাবি ইনফ্লুয়েন্সার কাঞ্চন কুমারীর দুর্গন্ধযুক্ত দেহ ভাতিন্ডার আদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্কিং জোনে গাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয়। এরপরই রহস্য মৃত্যু এক তরুণী মডেলের। হরিয়ানার সোনিপাতের খরখোদা এলাকায় একটি নালা থেকে গলা কাটা বছর ২৩-২৪ এর মডেল শীতলের দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মডেলের বোন নেহা ১৪ জুন থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তাঁর বয়ানের ভিত্তিতেই পুলিশের সন্দেহ তালিকায় ছিলেন শীতলের প্রেমিক সুনীল। মডেলের মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধারের একদিন পরই প্রকাশ্যে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ জানিয়েছে, সুনীল বিবাহিত ও দুই সন্তানের বাবা। চাপের মুখে শীতলকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন।
কী ঘটেছিল শীতল ও অভিযুক্ত সুনীলের মধ্যে?
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাত সুনীল ও শীতলের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়। মেজাজ হারিয়ে শীতলকে মারধর করেন সুনীল। এরপর একেবারে রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন। বেশ কয়েকবার ছুরিকাঘাত করেন শীতলকে। তারপর খালে তাঁর দেহটি ছুঁড়ে ফেলে দেন সুনীল। পানিপথের একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন অভিযুক্ত সুনীল। সেখানেই পুলিশকে সত্যটা জানিয়েছেন। তার আগে খুনের ঘটনাকে ধামা চাপা দেওয়ার করেন। সেই জন্য গাড়িটি খালে ফেলে গাড়ি দুর্ঘটায় শীতলের মৃত্যুর গল্প সাজানোর পরিকল্পনা করেন।
আরও পড়ুন গাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার দুর্গন্ধযুক্ত দেহ, অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে রহস্য মৃত্য জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সারের
১৪ জুনের ঘটনা
শনিবার শীতল মিউজিক অ্যালবামের শুটের জন্য পানিপথের আহার গ্রাম থেকে রওনা দেন। রাত সাড়ে দশটায় প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে সুনীল সেখানে পৌঁছান। তারপর সুনীলের গাড়িতে দুজনে একসঙ্গে বেরিয়ে যান। মাঝ রাস্তায় তাঁরা মদ্যপান করেছেন বলে দাবি পুলিশের। এরপরই দুজনের মধ্যে শুরু হয় বচসা। রাত একটা বেজে ৩০ মিনিটে বোন নেহাকে ভিডিও কল করেন শীতল। তখন সুনীল রীতিমতো তাঁকে মারধর করছেন। এরপর ফোন আচমকা কেটে যায়। আর ফোনে পাওয়া যায়নি শীতলকে। খুন করে শীতল আর গাড়ি দুটোই খালের জলে ভাসিয়ে দেন।
১৫ জুন খালের ধারে গাড়ি উদ্ধার
শীতলের মৃত্যুর একদিন পর পানিপথের একটি খালের ধার থেকে পুলিশ গাড়ি উদ্ধার করে। কিন্তু, শীতলকে তখনও সেখানে পাওয়া যায়নি। এর মাঝেই সুনীল স্থানীয় একটি হাসপাতালে পৌঁছান। সেখানে গিয়ে গল্প ফাঁদেন, তাঁর গাড়ি খালে পড়ে গিয়েছে। সাঁতার কেটে কোনওক্রমে নিজেকে বাঁচিয়েছেন। তাই আহত অবস্থায় চিকিৎসা করাতে এসেছেন।
১৬ জুন উদ্ধার শীতলের মুণ্ডহীন দেহ
সোমবার পুলিশ শীতলের গলা কাটা দেহ উদ্ধার করে। সোনিপতের খরখোদা এলাকার একটি খাল থেকে পাওয়া যায় শীতলের দেহ। শরীরে অনেক আঘাতের চিহ্ন দেখেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, পানিপথের থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে শীতলের দেহ খালের জলে ভেসে ওঠে।
১৭ জুন খুনের কথা স্বীকার করে সুনীল
পুলিশের তদন্তে সুনীল সত্যটা স্বীকার করেন। তবে ঠিক কী কারণে শীতলকে নির্মমভাবে হত্যা করেছেন সেটা এখনও তদন্তসাপেক্ষ। মঙ্গলবার আদালতে পেশ করা হবে সুনীলকে।
সুনীল-শীতলের সম্পর্ক
সুনীল ও শীতল একে অপরকে প্রায় ছ'বছর চিনতেন। সুনীলের হোটেলে একটা সময় কাজ করতেন শীতল। তখনই শীতলকে বিয়ের প্রস্তাব দেন সুনীল। কিন্তু, সুনীল বিবাহিত ও দুই সন্তানের বাবা সেই কথা জানার পর বিয়ের প্রস্তাব খারিজ করেন শীতল। হরিনাভির মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতেন। তিনিও বিবাহিত ও পাঁচ মাসের একটি সন্তান রয়েছে।
আরও পড়ুন কেরিয়ারের মধ্যগগনে নিভল জীবন প্রদীপ, নালা থেকে উদ্ধার গলা কাটা তরুণী মডেলের দেহ!