Helicopter Eela's Riddhi Sen: এটা তাঁর প্রথম বলিউড প্রজেক্ট নয়। তবুও 'হেলিকপ্টার এলা' নিয়ে উত্তেজিত এই তারকা। তিনি ভিভান, অর্থাৎ ঋদ্ধি সেন। প্রদীপ সরকারের পরিচালনা, তাও আবার বিপরীতে কাজল। এরকরম স্বপ্নপূরণ বলা যায়। 'হেলিকপ্টার এলা'র অন্দরকাহিনি নিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সঙ্গে আড্ডায় বসলেন ঋদ্ধি।
'হেলিকপ্টার এলা' অফার...
প্রদীপদার সঙ্গে যখন বিজ্ঞাপনের শুট (২০১৬) করেছিলাম তখনই নাকি তিনি ঠিক করে নিয়েছিলেন ভিভানের চরিত্রটা আমি করব। তবে আমায় একদিন ফোন করে বলেন, শুধু বলেনই না কনর্ফাম করে দেন। এটা সাধারণত হয় না বলিউডের ক্ষেত্রে। পাঁচ সাতটা অডিশন পেরিয়ে আসতে হয় যেখানে, সেখানে কিচ্ছু না করে এরকম স্কেলের ছবিতে কাজ পাওয়া ভাগ্যের।
বিপরীতে কাজল...
ছবি শুরুর আগে দাদার একটা প্রসেস আছে। উনি একটা অডিও বুক তৈরি করেন, তখনই পরিচয় হয় কাজল ম্যামের সঙ্গে। আগের বছর জুনে। প্রথমদিন ফ্লোরে যাওয়ার আগে আমরা রীতিমতো কম্ফর্টেবল হয়ে গিয়েছিলাম। ফলে অন ফ্লোর আমাদের বন্ডিংটা চরিত্র দুটোর মধ্যেই ধরা পড়েছে। অনেক আনপ্ল্যান্ড কাজ করেছি শটের মধ্যে। আর এখন তো ভাল অ্যাটাচমেন্ট হয়ে গিয়েছে।
একবাক্যে অফস্ক্রিন কাজল...
ভীষণ ভাল সেন্স অফ হিউমার।
উনি পাশে থাকলে না হেসে থাকা খুব মুশকিল। তারকা হওয়ার আগেও, তিনি ভীষণ ভাল মানুষ। ইন্ডাষ্ট্রির ট্রেন্ডের বাইরের মানুষ। ব্যক্তিগত জীবন ও পেশা আলাদা করে রাখতে জানেন।
Helicopter Eela Film's Riddhi Sen: কাজল ও ঋদ্ধি সেন। ছবি: ঋদ্ধির ফেসবুক পেজ থেকে।
Kajol and Riddhi Sen Helicopter Eela Movie
মা-ছেলের গল্প, কতটা সুবিধে হয়েছিল চরিত্রটা করতে?
সুবিধে হয়েছিল কারণ আমার বেস্টফ্রেন্ড আমার মা। এটা খুব বড় জায়গা। আমার আর মায়ের বন্ডিং আর ইলা-ভিভানের বন্ডিং অন্যকরম, কিন্তু বেসটা এক ছিল। আলাদা যেটা ছিল ভিভান সিঙ্গল পেরেন্টিংয়ে বড় হয়েছে। প্রদীপদা আর চিত্রনাট্যকার মিতেশ শাহের সঙ্গে আলোচনাও হয়েছে এই বিষয়ে। আসলে মায়ের বড় হওয়ার গল্প 'হেলিকপ্টার এলা'।
পরিচালক প্রদীপ সরকার...
দাদা সেই সব মানুষগুলোর তালিকায় পড়েন, যাঁদের আর কিছু বছর পর থেকে পাওয়া যাবে না। কেননা নিঃস্বার্থ ভাবে মানুষের জন্য কাজ করা যায়, এটা তিনি বারবার প্রমাণ করেছেন। বিগ হার্টেট হিউম্যান বিইং। উনি যা আমার জন্য করেছেন খুব কম মানুষ করেন।
মজার মূহুর্ত?
এই রে! প্রচুর আছে। আমার তো মনে হয় গোটা ছবিটাই (হাসি)। দাদার ইউনিটের সঙ্গে আমি আগেও কাজ করেছি। ইউনিটের কেউ মাথা গরম করে না। তবে দুটো জিনিস আমার মনে আছে। একদিন সাউথ বম্বেতে শুটিং হয়েছিল। আমি গাড়িতে ঘুমোচ্ছিলাম, উঠে এক মিনিটের জন্য মনে হল কলকাতায় চলে এসেছি। জায়গাটা সম্পূর্ণ কলকাতার মতো দেখতে। আমি আগে কখনও ফোর্ট এরিয়ায় শুটিং করিনি।
Helicopter Eela Film's Riddhi Sen: অভিনেতা ঋদ্ধি সেন। ছবি: ঋদ্ধির ফেসবুক পেজ থেকে।
সেদিন হলুদ ট্যাক্সিতে শুটিং সিকোয়েন্স ছিল আমার আর কাজল ম্যামের। আর আশেপাশে সবাই দেখছে কাজল ট্যাক্সিতে করে যাচ্ছেন। আর ইউনিটের সঙ্গে দাদা টেম্পোতে। শুধু তাই নয়, ট্রাকের সঙ্গে লোহার স্ট্রাকচার বাঁধা, তার ওপর চেয়ার নিয়ে দাদা বসে আছেন ট্যাক্সির দিকে মুখ করে। এবার হল কী, এত গরম, শটের পরই যে যার মত গাড়িতে উঠে গেছে। আর দাদার ভাবটা এমন, আমি ডিরেক্টর, আর কেউ পাত্তা না দিয়েই চলে গেল? পুরোটা রাস্তা দাদা গরমে ওই চেয়ারে বসে গিয়েছে!
আরও পড়ুন, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় প্রযোজনা করবেন শুনে ঘাবড়ে গিয়েছিলাম: অভিষেক সাহা
প্রায় না থেমেই, আর একটা যেটা মজা হতো, কাজল ম্যাম কনফিউজ হয়ে যেতেন, ইউনিটটা কি বাংলা ছবির? প্রায় প্রত্যেকে বাঙালি সেখানে - আমি, দাদা, শীর্ষদা (সিনেমাটোগ্রাফার শীর্ষ রায়), ফার্স্ট এডি। আর সবাই বাংলায় কথা বলছে। দাদা তো বেশিরভাগ সময়েই কাজল ম্যামকেও নির্দ্বিধায় বাংলায় বলে দিচ্ছে। আর ম্যাম ক্লুলেস! এত বাঙালি কেন?