/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/13/here-is-the-first-single-screen-hall-in-india-kolkata-has-that-before-independence-2025-08-13-18-21-46.jpg)
চেনেন এই হলটি?
ভারতবর্ষের সঙ্গে সিনেপ্রেমীদের যোগ ভীষণ। বিশেষ করে কলকাতার মানুষ, কিংবা বাংলার মানুষের জীবনে যাত্রাপালা সঙ্গে থিয়েটার এবং নানা ধরণের আমোদপ্রমোদের সংযোগ ছিল। তৎকালীন ভারতের রাজধানী ছিল কলকাতা। এবং সেসময় নানা ধরণের নাটক - শো দেখানো হত থিয়েটার পাড়ায়। সে নীলদর্পণ হোক কিংবা নটি বিনোদিনীর অনবদ্য অভিনয় দক্ষতা - সিনেমার সঙ্গে যে ধরনের সম্পর্ক বাংলার আছে, তা জেনে নেওয়া যাক।
ব্রিটিশ পিরিয়ডে ভারতের প্রথম সিঙ্গেল স্ক্রিন কিংবা একক পর্দার হল ছিল কলকাতাতেই। সেসময় সিনেমার কিংবা থিয়েটারের পৃষ্ঠপোষক সংখ্যা কম ছিল না। এবং, খেয়াল করলে দেখা যাবে, সেই সিনেমা হলের নামের সঙ্গে মিল আছে এমন একজন সিনে কিংবদন্তির, তিনি চার্লি চ্যাপলিন। পরাধীন ভারতের একক পর্দার সিনেমাহলের মধ্যে প্রথম চ্যাপলিন সিনেমা। পূর্ব নাম এলফিস্টন প্যালেস। তারপর যদিও বেশ কয়েকটি সিনেমা হল স্থাপিত হয়েছে।
চ্যাপলিন সিনেমা: ১৯০৭ সালে এই হল প্রতিষ্ঠা হয়। ৫/১ চৌরঙ্গী লেনে এটির উদ্বোধন হয় জামশেদজি ফ্রামজী মদনের হাত ধরে। এবং এটিই ছিল, ভারতের প্রথম সিঙ্গেল স্ক্রিন সিনেমা হল।
মেট্রো সিনেমা হল: এর নাম শুনলেই বোঝা যায় তৎকালীন ভারতের আমেরিকান ইনফ্লুয়েন্স দিয়ে নির্মিত ছিল এটি। MGM ফিল্মস দেখানোর জন্য এই সিনেমাহল স্থাপন করা হয় ১৯৩৫ সালে। ডিজাইন করেছিলেন থমাস.ডাব্লিউ ল্যাম্ব। যদিও পরে এখানে হিন্দি ছবি দেখানো শুরু হয়।
স্টার থিয়েটার: এই থিয়েটার সবথেকে পুরোনো। স্টেজ শো বলতে যা বোঝায়, সেটাই এখানে প্রদর্শিত হত। ১৮৮৩ সালে এটি তৈরি করা হয় বিডন স্ট্রিটে। এবং, বর্তমানে নটি বিনোদিনীর নাম অনুসারে, এর নাম রাখা হয়েছে বিনোদিনী থিয়েটার। এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেক স্মৃতি। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে যে নাটকগুলি সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিল, তাঁর মধ্যে এটি একটি।
রূপবানি: যদিও এই সিনেমাহলের শুরু স্বাধীনতার পর। তবে, এই সিনেমাহলের শুরু হয়েছিল বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাত ধরে। থিয়েটার পাড়ায় অন্যতম জনপ্রিয় সিনেমাহল ছিল এটি। এছাড়াও ছিল রাধা এবং আরও অনেক। যেগুলি পরে, বন্ধ হয়ে যায় বলেই জানা যায়।