এপ্রিলের পয়লা তারিখেই পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর সদর বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট হয়ে গিয়েছে। তবে নির্বাচন মিটলেও ময়দান ছেড়ে আসেননি সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের পদ্মপ্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় (Hiraan Chatterjee)। করোনা সচেতনতায় মাস্ক বিলি করছেন আমজনতার মধ্যে। বাদ যাচ্ছেন না পথচলতি পুলিশরাও। কোভিডযুদ্ধে যাঁরা কিনা প্রথমসারিতে দাঁড়িয়ে লড়ে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষের সুরক্ষার্থে। সেই কোভিডযোদ্ধাদের দিকেও কড়া নজর হিরণের। দেখা পেলে তাঁদের হাতেও সুরক্ষাবর্ম মাস্ক তুলে দিচ্ছেন। তবে এতসবের মাঝেও ট্রোল কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না গেরুয়া শিবিরের তারকা প্রার্থীর। এবার বিজেপির (BJP) আসনসংখ্যা নিয়ে 'ভবিষ্যদ্বানী' করে নেটজনতাদের কাছে বেজায় বিদ্রুপের শিকার হলেন খড়্গপুরের পদ্মপ্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়।
পশ্চিমবঙ্গে আট দফার (West Bengal Assembly Election 2021) ভোটপুজোর ইতি ঘটেছে বৃহস্পতিবার। এবার ২মের অপেক্ষা। ভোট রণক্ষেত্রে কে হাসবেন আর কে-ই বা পরাস্ত হবেন? সেদিনকার নির্বাচনী মার্কসিটেই মিলবে চূড়ান্ত উত্তর। অতঃপর এক্সিট পোল নিয়েও নেটজনতাদের কৌতূহল চরমে। কারণ, বাংলায় বিধানসভা ভোট ইতিহাসে এমন নাটকীয় নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সাক্ষী থেকেছে কিনা আমজনতা, সন্দেহ রয়েছে! একুশে বাংলা মোদী (Narendra Modi) না মমতার (Mamata Banerjee)? বৃহস্পতিবার রাতের ভোটচর্চায় সেই প্রশ্নে যখন মশগুল বঙ্গবাসী, তখনই পদ্মপ্রার্থী হিরণ দাবি করে বসেন যে, "বাংলায় ২০০টিরও বেশি আসনে জিতবে বিজেপি!" ব্যস, অমনি রে-রে করে ওঠেন নেটজনতার একাংশ।
বিভিন্ন মাধ্যমে ভোট সমীক্ষার পর ফেসবুকে হিরণ লেখেন, "২০১৯ সালের লোকসভায় EXIT POLLS বলেছিল বিজেপি ৮ পাবে পেয়েছিল ১৮, ২০২১ বিধানসভায় বলছে বিজেপি ১২১ অর্থাৎ বিজেপি ২০০+" তারকাপ্রার্থীর এমন মন্তব্যের পরই নেটদুনিয়ায় শুরু হয় শোরগোল। হিরণকে ভোটরাজনীতির 'সুপারহিট-সুপারফ্লপের' মন্ত্র পড়ান নেটিজেনদের একাংশ। তাঁদের কথায়, আপনিও তো বারবার ছবির প্রমোশনে গিয়ে বলতেন, "এটা অন্যরকম ছবি। সুপারহিট হবেই। কিন্তু সেটা হত সুপারফ্লপ!" কেউ বা আবার ভবানীপুরের বিজেপিপ্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষের (Rudranil Ghosh) প্রসঙ্গ উত্থাপন করেও কটাক্ষ করেছেন গেরুয়া শিবিরের দুই তারকাকে। বলছেন, "আগের পার্টিতে তো কাজ করতে পারছিলেন না। তা এখন তো করোনা পরিস্থিতিতে ব্যাপক কাজের সুযোগ এসেছে, নেমে পড়ুন মানুষের সেবা করতে, ঘরে বসে না থেকে। সঙ্গে পাজির হাত পা ঝাড়া ব্যাটা রুদ্রটাকেও সঙ্গে নেবেন।"
তবে চর্চা, সমালোচনা যাই হোক না কেন, দিলীপ ঘোষ-গড় খড়গপুরের জমিতে কি পদ্ম ফুটবে? উত্তর জানতে আর দিন দুয়েকের অপেক্ষা। তবে ট্রোলিং সামলেও কিন্তু খড়গপুরের পিচে ব্যাট করতে ছাড়ছেন না হিরণ চট্টোপাধ্যায়।