গ্রীক গড হিসেবে তিনি বলিউড মাতাচ্ছেন সেই ২০০০ সাল থেকে। প্রথম ছবি কাহো না প্যার হ্যায় দিয়ে বলি ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন। আর সেই থেকেই জাদু চলছে এখনও পর্যন্ত। নাচের তালে দর্শকদের মনোরঞ্জন করেছেন এতদিন যাবত-তিনি হৃত্বিক রোশন ( Hrithik Roshan )। আর প্রসঙ্গে যখন তার জন্মদিন তখন পুরনো কথা না বললেই নয়। সেই পুরনো গিটার হাতে লাভার বয় ইমেজ এখনো দর্শক ভুলতে পারেননি।
তখন সবে নবাগত সে, তবে সাফল্য ছিল আকাশছোঁয়া! তার মধ্যে তিন খানের রমরমা দেখেই ভয়ে কুকরে গেছিলেন হৃত্বিক। এমনও ভেবেছিলেন এই দুনিয়ায় জায়গা পাবেন কিনা! বাবা রাকেশ রোশন জানান, একসময়ে হৃত্বিক প্রচন্ড মাত্রায় ঘরকুনো হয়ে পড়েন, কারওর সঙ্গে দেখা করতে চাইতেন না। কেঁদে কেটে বলতেন, বাইরে তার সঙ্গে এত মানুষ দেখা করার জন্য দাড়িয়ে আছে কিন্তু সে যেতে নারাজ! পরিস্থিতি এমন এক জায়গায় গিয়ে দাঁড়ায় হৃত্বিক বলেন এইভাবে চলতে থাকলে সে কাজ শিখতে পারবে না, অভিনয়ের জন্য অনেক সময় প্রয়োজন, কাজের দায়িত্ব এবং ঝুঁকি নেওয়ার ইচ্ছেই ছিল না তার।
অন্যদিকে রাকেশ রোশনের জেদ ছিল সাংঘাতিক। তিনি নিজে থেকেই ছেলেকে বুঝিয়েছিলেন দর্শকদের এমন উন্মাদনা প্রসঙ্গে, ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হন সম্পূর্ণ বিষয়ে। রাকেশের বক্তব্য, তিনি অভিনেতা হিসেবে সেভাবে দাঁড়াতে পারেননি তবে ছেলেকে প্রতিষ্ঠিত করতে কোনও খামতি রাখেন নি। একজন স্পেশ্যাল চাইল্ড হিসেবে হৃত্বিকের অভিনয় প্রসঙ্গেই হাজার লোকে রাকেশ রোশন কে পাগল তকমা দিলেও, সবাইকে অগ্রাহ্য করেই এগিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। অভিনয় জীবনের সঙ্গেই তাঁর ব্যক্তিগত জীবনেও ছিল চড়াই উৎরাই। তবে জন্মদিনে শুভেচ্ছাবার্তা জানাতে বাদ যাননি কেউই। প্রাক্তন স্ত্রী সুজানের বক্তব্য, বাবা হিসেবে সে অনবদ্য। তার দুই ছেলে রে এবং রিদজ সত্যিই গর্বিত তাকে বাবা হিসেবে পেয়ে, সমস্ত স্বপ্ন পূরণ হোক।
হৃত্বিকের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরেও দিব্য ভাল সম্পর্কই রয়েছে তার। মাঝে মধ্যেই একসঙ্গে সময় কাটান দুজনেই। বাবা রাকেশ রোশন জানিয়েছিলেন, তাদের দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব সত্যিই দেখবার মত। ডিভোর্সের পরবর্তীতেও নিজে থেকে সুজানের গাড়ির দরজা খুলে দিয়েছিলেন হৃত্বিক, এগুলো সম্পূর্ণ নিজস্ব অনুভূতি, শেখানো যায় না। তবে এবারের জন্মদিন তার কাছে বেশ আলাদা। মোগলী কে দত্তক নিয়েছেন তিনি। সঙ্গে বেশ মিষ্টি একটি বার্তাও জুড়েছেন। সারমেয়কে কাছে পেয়ে নিজেও মেতেছেন আনন্দে, তার সঙ্গেই সময় কাটাতে ব্যস্ত দুগ্গু।