Advertisment

আমার শিক্ষা অত নয় যে সিনেমার মাধ্যমে কাউকে শিক্ষিত করব: রাজা চন্দ

Raja Chanda: পরিচালক রাজা চন্দ বহু বক্স-অফিস-হিট ছবি উপহার দিয়েছেন। সাম্প্রতিক বাংলা ছবির ট্রেন্ডস, রিমেক, বেশ কিছু প্রসঙ্গ এল তাঁর সঙ্গে কথোপকথনে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
I am not educated enough to teach people through Cinema says Bengali filmmaker Raja Chanda

রাজা চন্দ। ছবি: পরিচালকের ফেসবুক পেজ থেকে

Raja Chanda interview: জি বাংলার নতুন উদ্যোগে এবার থেকে বেশ কিছু জি বাংলা অরিজিনাল ছবি মুক্তি পাবে প্রেক্ষাগৃহে। এই নতুন উদ্যোগের প্রথম ছবি হতে চলেছে 'আজব প্রেমের গল্প', যে ছবির পরিচালকের ভূমিকায় রয়েছেন রাজা চন্দ। ছবির আনুষ্ঠানিক ঘোষণার সাংবাদিক সম্মেলনে, মঞ্চে বেশ মজা করেই বলেন পরিচালক যে এবার তিনি একটি 'অরিজিনাল' ছবি পরিচালনা করছেন। পরিচালক রাজা চন্দ বহু বক্স-অফিস-হিট ছবি উপহার দিয়েছেন এবং তার মধ্যে বেশিরভাগই রিমেক। কিন্তু তাঁর প্রথম ছবি 'টার্গেট' রিমেক ছিল না যেটির চিত্রনাট্য তাঁর নিজেরই লেখা। আবার ২০১৫-র ছবি 'ব্ল্যাক'-ও কিন্তু রিমেক নয়।

Advertisment

অথচ পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর মতো তাঁকেও বার বার 'রিমেক কিং' বলা হয়েছে, কখনও গণমাধ্যমে, আবার কখনও সোশাল মিডিয়ায়। সত্যিই কি তিনি রিমেক ছবি করতে চেয়েছেন? সাম্প্রতিক বাংলা ছবিতে সাধারণ মানুষের কথা কি বলা হচ্ছে ঠিকঠাক? ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-র পক্ষ থেকে এমনই দু-একটি প্রশ্ন ছিল পরিচালক রাজা চন্দর কাছে--

মঞ্চে আপনি মজা করে বললেন, 'আমি এতদিন রিমেক করেছি, এবার অরিজিনাল'। এটা কি আপনার একটা ক্ষোভ যে আপনি অরিজিনাল গল্প নিয়ে ছবি করতে পারেননি?

দেখুন ম্যাডাম, আমি তো বেসিকালি এসেছি অ্যাড ফিল্ম ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে। আমি একজন স্ক্রিপ্টরাইটার হিসেবে শুরু করেছিলাম, তার পরে অ্যাড ফিল্মে যাই। গুণে দেখলে নয় নয় করে ৫০০টা অ্যাড ফিল্ম করেছি। আর অ্যাড ফিল্ম পুরোপুরি অরিজিনাল আইডিয়া থেকেই হয়। অ্যান্ড আই অলওয়েজ ট্রায়েড টু ক্র্যাক মাই আইডিয়াজ। মিউজিক থেকে শুরু করে, কনসেপ্ট থেকে শুরু করে স্টোরিবোর্ড-- সবকিছুই আমি করি। সুতরাং অরিজিনাল জিনিস করাটাই আমার ইচ্ছে ছিল। আমি রিমেক করেছি কিন্তু একদম নিজের অনিচ্ছায় করেছি কেন আপনি প্রশ্ন করতেই পারেন... তা নয়, করতেও ভাল লেগেছে। কিন্তু রিমেক পেরিয়ে যদি আবার অরিজিনাল কোনও সাবজেক্টে ছবি করতে পারি, ডেফিনিটলি আই উড বি হ্যাপি।

আরও পড়ুন: আমরা মার্কেট লিডার চ্যানেল, আমরা নতুন উদ্যোগ না নিলে কে নেবে: সম্রাট ঘোষ

এই ছবিতে তো গল্পের নায়িকা নায়কের চেয়ে বয়সে বড়। এই ধরনের সম্পর্কের ভাল দিক, মন্দ দিকগুলি কী কী, আপনার কী মনে হয়?

দেখুন প্রথম কথা হচ্ছে, প্রেম তো কখনও বাধা মানে না। আমার মনে হয়, সব দেশে, সব ভাষায় এটার একই উত্তর হবে। বয়সটা এখানে ফ্যাক্টর নয়। কিন্তু আমরা যে দর্শকের কথা মাথায় রেখে ছবি করি বা যদি বাঙালি দর্শকের কথা ধরা যায়... তবে বাঙালি সংস্কৃতিতে মেয়েটি বয়সে বড়, এটা মেনে নেওয়া একটু শক্ত। তাই ছবির নাম 'আজব প্রেমের গল্প'। কারণ কারও কারও কাছে এটা 'আজব' লাগতে পারে। কিন্তু দর্শক যখন ছবিটা হলে দেখবেন বা টেলিভিশনে বসে দেখবেন, তখন তারা বুঝবেন যে এই প্রেমটা 'আজব' নয়। সেটাই হবে আমাদের উত্তর।

বাংলা ছবিতে সম্প্রতি খুবই শহরকেন্দ্রিক গল্প দেখা যাচ্ছে। আপনার কি মনে হয় যে এই সময়ের মেকাররা নিতান্ত সাধারণ মানুষ, গ্রামের চাষি, এঁদের কথা বলতে ভুলে যাচ্ছেন?

আমি অন্যের কথা বলতে পারব না। আমি আমার কথা বলছি। আমি সব সময়েই মাস কেটার করেছি কারণ আমার বিজ্ঞাপনের শিক্ষাই তাই। যত বেশি সংখ্যক মানুষ প্রডাক্টটা ব্যবহার করবেন, তত বেশি সংখ্যক মানুষ উপকৃত হবেন এবং কোম্পানি উপকৃত হবে অ্যাজ ওয়েল। আমি যখন ছবি করা শুরু করি ২০১০-এ... 'টার্গেট' একট বাণিজ্যিক ছবি। আমি শুধুমাত্র বাণিজ্যিক ছবিই বুঝি। অর্থাৎ বেশি সংখ্যক মানুষ যাতে আমার ছবি দেখেন। অর্থাৎ আমি তাঁদের নিয়েই গল্প করব, তাঁদের প্রয়োজনীয় এন্টারটেনমেন্ট। কারণ আমি সিনেমাকে এন্টারটেনমেন্ট ছাড়া বুঝি না কিছু। কারণ আমার শিক্ষা অত নয় যে আমি সিনেমার মাধ্যমে কাউকে শিক্ষিত করব। আমি অতটাও শিক্ষিত মানুষ নই। সো, আই অ্যাম হ্যাপি যে আমি মাস-কে নিয়ে চলছি।

bengali films
Advertisment