নস্ট্যালজিয়া উসকে বছর দশেক পর খুলল মেট্রো সিনেমা হলের দরজা, খুশি সিনেপ্রেমীরা

২০১১ সালে নানা কারণে বন্ধ হয়ে যায় এসপ্ল্যানেড চত্বরের ঐতিহ্যবাহী এই মেট্রো সিনেমা হল।

২০১১ সালে নানা কারণে বন্ধ হয়ে যায় এসপ্ল্যানেড চত্বরের ঐতিহ্যবাহী এই মেট্রো সিনেমা হল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
metro cinema hall

দশ বছর পর সিনেদর্শকদের জন্য খুলল মেট্রো সিনেমা হলের (Metro Cinema Hall) দরজা। খানিকটা যেন নস্টালজিয়াকেও উসকে দিল। অতঃপর অতীতের স্মৃতি বিজরিত ঐতিহ্যবাহী এই প্রেক্ষাগৃহের দ্বার খোলার আনন্দে ভাসছেন কলকাতাবাসীও। সালটা ১৯৩৫। মেট্রোর পথ চলা শুরু হয়েছিল সেসময়ে। এরপর কালের নিয়মে শহরে মাল্টিপ্লেক্স, ঝা চকচকে প্রেক্ষাগৃহের রমারমা হওয়ায় ধীরে ধীরে কমতে থাকে দর্শকের আনাগোনা। ২০১১ সালে নানা কারণে বন্ধ হয়ে যায় এসপ্ল্যানেড চত্বরের মেট্রো সিনেমা হল।

Advertisment

এবার, বছর দশেক পর গত ২০ জানুয়ারি ফের চালু হল এই সিনেমা হল। এক্কেবারে নতুন রূপে দর্শকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত হল কর্তৃপক্ষ। মেট্রো রিয়ালিটি গ্রুপের তরফে আপাতত দুটি স্ক্রিন এবং ৪২২টি দর্শকাসন নিয়ে ফের পথ চলা শুরু করল ঐতিহ্যবাহী এই প্রেক্ষাগৃহ। স্থপতি সুবীর কুমার বসুর মস্তিষ্কপ্রসূত নকশার অবলম্বনেই নয়া মোড়কে গড়ে উঠেছে এটি। তবে এবার শুধু সিঙ্গল স্ক্রিন নয়, আইনক্সের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এবার এই প্রেক্ষাগৃহ ‘মেট্রো আইনক্স’।

উপরন্তু সিনেমা দর্শনের সঙ্গে উদরপূর্তির ব্যবস্থাও ষোলো আনা। ভোজনবিলাসীদের জন্য এখানে থাকছে ক্যাফে আনওয়াইন্ড। চাইলে সিনেমা না দেখে শুধুমাত্র সুস্বাদু খাবারের মজা নিতেও আসতে পারেন যে কেউ।

Advertisment

৮৬ বছর আগের কথা। মেট্রো-গোল্ডউইন-মেয়র কলকাতায় তাদের চলচ্চিত্রের বিপণনের জন্য এই সিনেমা হল তৈরির পরিকল্পনা করেছিল। ১৯৩৪ সালে স্কটিশ বংশোদ্ভুত নিউ ইয়র্কের টমার ল্যাম্ব এই হলের নকশা প্রস্তুত করেন। এরপর জনসাধারণের জন্য ১৯৩৫ সালে চালু হয় এই প্রেক্ষাগৃহ। জানা যায়, 'ওয়ে আউট ওয়েস্ট' সিনেমাটিই প্রথম এই হলে প্রদর্শিত হয়েছিল। চল্লিশের দশকে লাইটহাউস হল নির্মিত হওয়ার আগে মেট্রোই ছিল কলকাতার আধুনিকতম সিনেমা হল।

এপ্রসঙ্গে, আইনক্স লিজারের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার অলোক ট্যান্ডন জানিয়েছেন, "এ আমাদের কাছে অত্যন্ত গর্ব এবং সম্মানের বিষয়, যে আইকনিক সিনেমা হলটি এখন মেট্রো আইনক্স হিসাবে পুনরায় খোলা হয়েছে। এছাড়া এই পুনর্নবীকরণ প্রক্রিয়ার অংশ হতে পেরে আমরা সম্মানিত। এবং কলকাতা শহরে মেট্রোকে ঘিয়ে যে গৌরবময় স্মৃতি রয়েছে, তা পুনরুদ্ধার করতেও আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।"

kolkata Metro Cinema Hall