দেব, ছোটবেলা থেকে তাঁকে দেখে বেড়ে ওঠা এই প্রজন্মের। আর সেই মানুষটার সঙ্গে যদি কাজ করার সুযোগ কেউ পায়, তাহলে আর হাতছাড়া করে? ওপার এবং এপার বাংলার 'প্রিয়তমা' এবার দেবের ( Dev ) সঙ্গে জুটি বাঁধছেন 'খাদান' ছবিতে।
দেব শুরু করে দিয়েছেন শুটিং। কয়লাখনিতে দেবের নতুন ছবির শুটিং চলছে জোরকদমে। অভিনেতা এই ছবির ঘোষণা করার সময় জানিয়েছিলেন, এক্সপেরিমেন্টাল ছবি করতে চলেছেন তিনি। এতটা ভাবনা চিন্তা আগে কোনোদিন করেননি। আর দেবের বিপরীতে এবার অভিনেত্রী ইধিকা পাল। ধারাবাহিক থেকে সিনেমা, এবং ওপার বাংলার মানুষের কাছে প্রিয়তমা হয়ে ওঠা, নেহাতই সহজ ছিল না। কিন্তু এবার যখন সঙ্গ দিচ্ছেন খোদ দেব..ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে ফোন যেতেই ইধিকা ( Idhika Paul ) জানালেন অজানা কিছু কথা।
সিনেমার শুরুটা ওপার বাংলা থেকে করলে কেন?
এখানে কিন্তু, একটা গল্প আছে। পিলু ধারাবাহিকে তো অভিনয় করতাম। সেখানের পর কিন্তু আমি আমার এই বাংলাতেই সুযোগ পেয়েছিলাম। কিন্তু সেই ছবির শুটিং শেষ করলেও রিলিজ করেনি। আর বাংলাদেশে প্রিয়তমা রিলিজ করে গেল। সেকারণেই, অনেকে ভাবেন যে আমার বাংলায় হয়তো আমার সুযোগ হয়নি। কিন্তু, না! আমার জায়গা থেকেই আগে ডাক পেয়েছিলাম।
খাদান ছবিতে হ্যাঁ বলার পেছনে কারণ কি শুধুই দেব?
বলতে পারো! ( হাসি )... না না, শুধু দেব দা নয়। খাদানের স্ক্রিপ্ট যথেষ্ট আকর্ষণীয়। এমন ভাল স্ক্রিপ্ট না বলা যায় না। আর দেবদা তো রয়েছেই। সেটা তো উপরি পাওয়া। কিন্তু, ভীষণ সময় নিয়ে কাজ করা হয়েছে স্ক্রিপ্টে। তাই, না বলতে পারি নি।
দেবকে দেখে নিশ্চয়ই বড় হওয়া, ছেলেবেলার ক্রাশ! এই ছবিতে আবার প্রযোজক, কীভাবে দেবদাকে আশা করছ এই ছবিতে?
সত্যি বলছি, একজন সহ অভিনেতা হিসেবে। দেবদা তো অভিনেতা হিসেবে ভীষণ সাবলীল। প্রযোজক হিসেবেও তাঁর বেশ নাম রয়েছে। আর মানুষটাও এত অন্যরকম যে, তাঁকে সেটে ঠিক কিভাবে দেখব, বা পাব.. সেটা এখনই বলা সম্ভব না।
ভয় লাগছে? এই বাংলায় কাজ তারপর আবার দেব - যীশু?
ভয় ঠিক না। একটা অন্যরকম বিষয় কাজ করছে। যীশু দা বল, বা দেব, বা বরখা দি... এরা সকলেই খুব স্ক্রিন সেভিং অভিনেতা। তাই, কিছু তো ওয়ার্কশপ রয়েছেই। বাকিটা ফ্লোরে বুঝতে হবে। ( হাসি... )
তুমি তো, একটা বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করছ...
না না, বিশেষ চরিত্রে না। আমি এক্কেবারে দেবদার বিপরীতেই। দুজনেই লিড। প্রধান মুখ্য চরিত্রেই আমায় দেখা যাবে এই ভূমিকায়। কীভাবে যে বিষয়টা রটল যে আমি মুখ্য ভূমিকায় সেটা জানি না।
বাংলাদেশে গিয়ে যে এত ভালবাসা পাবে, আশা করেছিলে?
সত্যি, বলতে গেলে একেবারেই না। আসলে, সব জায়গায় তো নির্দিষ্ট কিছু মানুষ থাকেন। সেখানে তাঁদের বেশ জনপ্রিয়তা থাকে। আমি এখান থেকে গিয়ে একটু ভয়ে ছিলাম। তবে, যেভাবে ওরা আমায় ভালবাসা দিল, আমি আপ্লুত। বাংলাদেশের মানুষরা এতটা অতিথিপরায়ণ! আমি তো আবার ডাক পেলে আবার যাব।
সিরিয়াল থেকে সিনেমার অভিনয় করতে গেলে কি সত্যিই হ্যাটা হতে হয়?
হয়তো হয়! আমার ক্ষেত্রে কিন্তু হয়নি। আমি কিন্তু, বরাবরই বেশ সাবলীল আচরণ পেয়েছি সকলের কাছ থেকে। ওপার বাংলায় যে কাজ করেছি, কোনওদিন বুঝতে পারি নি যে, সিরিয়াল থেকে এসেছি বলে সমস্যা আছে।
শেষ প্রশ্ন, কেউ কেউ বলেন সিরিয়ালে তারকারা ওভার অ্যাক্টিং করেন, তারা সিনেমায় অভিনয় করলে নাকি অতিরিক্ত অভিনয়ের বিষয়টা একই থাকে...
দেখ, দুটি বিষয় কিন্তু একেবারেই অন্যরক। সিরিয়াল অনেকদিন চলে। মানুষ, আমাদের দেখেন। আমরা ঘরে ঘরে পৌঁছে যাই। কিন্তু, সিনেমার ক্ষেত্রে একেবারেই আলাদা। কেন? কারণ একবারেই শট দিতে হয়। সেখানে ২০০% অভিনয় করতে হয়। কারণ, সিনেমা একবার রিলিজ হয়ে গেলে আর কিছু করার নেই। তাই, সাবলীল অভিনয়টাই প্রয়োজন।