হিন্দু হয়ে মুসলিম ঘরে বিয়ে করছেন। সন্তানের নামেও ইসলামিক প্রভাব! হজম করতে পারেননি অনেকেই। অতঃপর কটু কথা শোনাতেও ছাড়েননি করিনা কাপুরকে। বউমা-নাতিকে নিয়ে এবার মুখ খুললেন শর্মিলা ঠাকুর নিজে।
ষাট বছর ধরে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন। একাধিক ভয়ঙ্কর বিতর্কের সম্মুখীন হতে হয়েছে শর্মিলা ঠাকুরকে। ঠাকুর বংশের নাতনির মুসলিম বিয়ে থেকে শুরু করে গোস্ত খাওয়ার কথা শুনে অনেকেরই তখন ভ্রু আন্দোলিত হয়েছিল। বারবার কাটাছেঁড়া হয়েছে অভিনেত্রীকে নিয়ে। তবে বিতর্ক, সমালোচনা, নিন্দুকদের উপহাসকে উপেক্ষা করে একা মাথা উঁচু করে লড়ে গিয়েছেন। তবে গোটা জীবনে শর্মিলাকে সবথেকে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছিল তৈমুরের জন্মের সময়।
নাতির জন্মের সময় এত কুকথা শুনতে হয়েছিল যে, শর্মিলা ঠাকুর নিজেই হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলেন। নিজের কানকেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না যে, মানুষ এরকমও হয়। একটা একদিনের বাচ্চার মৃত্যুকামনা পর্যন্ত করতে পারে! সোশ্যাল মিডিয়াতে না থাকলেও বউমা করিনা কাপুর ও নাতি তৈমুর আলি খানকে নিয়ে যত চর্চা, নিন্দা হত, কিছুই নজর এড়ায়নি প্রবীন অভিনেত্রীর। তৈমুরের জন্মের সময়ে নবাব পরিবারের মান-মর্যাদায় যেভাবে আঘাত হেনেছিল নিন্দুকরা। সেই কথা বলতে গিয়েই গা শিউড়ে উঠল শর্মিলা ঠাকুরের।
<আরও পড়ুন: ‘আয় আমার বেডরুমে আয়…’, তেড়ে গেলেন সইফ আলি খান! ক্ষেপে লাল করিনাও>
সম্প্রতি বরখা দত্তের সঙ্গে এক কথোপকথনে শর্মিলা বললেন, "একটা পোস্ট পড়েছিলাম। যেখানে বলা হয়েছিল, করিনা জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মরলে ভাল হত। কোনওদিন তৈমুরের জন্ম হত না। আমি ভাবলাম, এরা কি সত্যি মানুষ? মানুষ কীভাবে এরকম কথা মনেও আনতে পারে! একটা একদিনের সদ্যোজাতের ক্ষতি চাইতে পারে? নিজের জন্য ভয় পাইনি। শুধু মে হয়েছিল, এটা কোন দুনিয়া? আর এই লোকগুলোই বা কারা? ভেবেছিলাম, এরা কি সত্যিই মানুষ?"
'অপুর সংসার' নায়িকা শর্মিলার মন্তব্য, "সমাজের সকলকে তো খুশি করে সম্ভব নয়! তাই নিজেকে ভাল রাখা জরুরী। অন্যের প্রেসক্রিপশন মেনে চললে নিজের ফোকাস, জীবনের ইচ্ছে সব জলাঞ্জলি দিতে হবে।"