ট্রোল-সমালোচনা যতই হোক, থেমে থাকেনি ইমন চক্রবর্তীর (Iman Chakraborty) সাহায্যের হাত। অতিমারী আবহে গায়িকার মানবিকতায় মুগ্ধ সহকর্মী থেকে অনুরাগীরা। কখনও ত্রাণ নিয়ে ছুটে গিয়েছে ইয়াস বিধ্বস্ত প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে, আবার কখনও বা অভুক্ত-অবলা পথকুকুরদের আগলে রেখেছেন নিজের আশ্রয়ে। এবার কোভিড, ইয়াস পেরিয়ে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত গায়িকার মানবিক ভূমিকা দেখল রাজস্থানের প্রত্যন্ত অঞ্চলের এক গানের দল। অতিমারী (Pandemic) আবহে বেজায় বিপদে পড়েছেন সেই দলের সদস্যরা। অর্থাভাব। সংসার চালানোর টাকাটুকু নেই। সোশ্যাল ওয়ালের মাধ্যমে অর্থকষ্টে থাকা সেই শিল্পীদের কথা জানতে পেরেই তড়িঘড়ি সাহায্যের হাত বাড়ালেন ইমন চক্রবর্তী।
প্রসঙ্গত, রাজস্থানের (Rajasthan) আঞ্চলিক গানের দলের সেই শিল্পীরা বিপন্ন পরিস্থিতিতে পড়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে নিজেদের সেই কষ্টের কথাগুলিই তাঁরা তুলে ধরেছিলেন। হাতজোর করে সাহায্য চেয়েছিলেন। সেই ভিডিওই চোখে পড়ে ইমনের। অতঃপর বিন্দুমাত্র দেরী না করে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন বাংলার খ্যাতনামা গায়িকা। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ডিটেলস জেনে টাকা পাঠান। শুধু তাই নয়, রাজস্থানের ওই মিউজিক্যাল টিমের সাহায্যের আর্তি চাওয়া ভিডিও নিজের সোশ্যাল মাধ্যমে শেয়ার করে অনুরাগীদেরও পাশে দাঁড়ানোর আর্জি জানিয়েছেন ইমন। গায়িকার সেই মানবিকতা দেখেই মুগ্ধ অনুরাগীরা। যিনি কিনা কলকাতাতে বসেই অন্য রাজ্যের দুঃস্থ শিল্পীদের অর্থকষ্ট দূর করার জন্য কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছেন।
উল্লেখ্য, বিগত কয়েক দিন ধরেই যে জায়গাগুলিতে সাইক্লোন ‘ইয়াস’ (Cyclone Yaas) তাণ্ডব চালিয়েছে, সেই প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে ছুটে চলেছেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত গায়িকা। ভ্যাকসিন নিয়েও তাঁর বিরাম নেই। থেমে থাকেনি ইমন চক্রবর্তীর সাহায্যের হাত। ত্রাণসামগ্রী নিয়ে ছুটে গিয়েছিলেন সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali)। প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী ছাড়াও ওষুধপাতি বিতরণ করেছেন দুর্গতদের মাঝে। তাও আবার নিজে দাঁড়িয়ে থেকে। আবার কখনও বা জলের তোড়ে ভেসে যাওয়া বাড়ির গৃহকর্তার হাতে তুলে দিয়েছেন ২০ হাজার টাকা। সামর্থ্য অনুযায়ী সকলকে পাশে দাঁড়ানোর আবেদনও জানিয়েছেন। এবার রাজস্থানের দুঃস্থ শিল্পীদের পাশে ইমন। শত ট্রোলিং, সমালোচনা সত্ত্বেও তাঁর সাহায্যের হাত যেন থামতেই চাইছে না।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন