গতকাল রিলিজ করেছে এই বছরের অন্যতম জনপ্রিয় গান। আবারও উইন্ডোজের তরফে নতুন একটি গান এনে তাক লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। রক্তবীজ ২ এর এই গান, এপার বাংলা-ওপার বাংলাকে মিলিয়ে দিয়েছে। বছর দুয়েক আগে রক্তবীজ বক্স অফিস কাঁপিয়ে দিয়েছিল। তারপর যেদিন থেকে এর সিকুয়ালের খবর প্রকাশ্যে এসেছে, সেদিন থেকেই আলোচনা ছিল তুঙ্গে। এবং খেয়াল করলে দেখা যাবে, যেদিন এই ছবিতে মিমি চক্রবর্তীর নীল বিকিনি লুক প্রকাশ্যে এল, সেদিন থেকে আলোচনা আরও তুঙ্গে।
যেখানে, দুই বাংলার মধ্যে তাৎক্ষণিক সম্পর্ক বেশ স্পর্শকাতর, সেখানে দাঁড়িয়ে এমন একটি গান যে দুই বাংলার মধ্যে এক নিদারুন সুন্দর মেলবন্ধনকে তুলে ধরেছে, সেকথা বলাই যায়। পদ্মাপাড়ের জামাই সেখানে গিয়ে কীভাবে ভালবাসা পেলেন? কত কী জামাই আদর হল তাঁকে নিয়ে, এমনটাই দেখানো হয়েছে এই গানে। বাবুর মা - গানটি প্রথমেই নজর কেড়েছে সকলের। আর এই গানের নেপথ্যে যার কণ্ঠ রয়েছে - তিনি ইমন চক্রবর্তী। এবং এবার আবারও জুটিতে পারফর্ম করেছেন সুরজিত এবং ইমন। রঙ্গবতীর পর, আবারও শিবু-নন্দিতার ছবিতে তাঁরা একসঙ্গে গেয়েছেন।
ইমনের কাছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে ফোন যেতেই তাঁকে জিজ্ঞেস করা হল, যেভাবে এই গানে একজন জামাইকে আদর-যত্ন করা হয়, তাঁর বর নীলাঞ্জনকে কি একইভাবে লিলুয়ার বাড়িতে জামাই আদর করা হয়? উত্তরে ইমন বললেন, "নীলাঞ্জন খুব একটা আমার বাড়িতে যেতে পারে না। কিন্তু, যখন যায়, তখন ওকে নিয়ে দারুণ মাতামাতি হয়। এবং, ওকে কী খাওয়াবে, কী না খাওয়াবে- এমনটা নিয়ে মাতামাতি করা হয়। আমার বাবা ও গেলে খুব খুশি হয়। যেহেতু জয়েন্ট ফ্যামেলি তাই, ও গেলে একধরনের উৎসব হয়। জামাইকে খুশি করা, আনন্দ দেওয়ায় তখন ত্রুটি থাকে না।
সুরজিত - ইমন হিট জুটি...
আমার কাছে এই বিষয়টা খুব নস্টালজিক। খুব আনন্দের। কারণ, রঙ্গবতি গানের পর, আমরা এমনি হয়তো কাজ করেছি। কিন্তু, শিবুদা-নন্দিতাদির সিনেমায় আবার অনেকদিন পর। আমার ভাল এটাই লাগছে, যে ওরা আমাদের আবারও ভরসা করে ডেকেছেন। এটাই তো পাওয়া...
বাংলা ছবিতে ইমনের গান থাকছেই...
জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত গায়িকা সোজাসুজি জানান, আমি এসব ভাবি না। বাংলার প্রত্যেকটা ছবিতে আমার গান থাকবেই, এটা ভাবনাতেও আনি না। এটা জগন্নাথের আশীর্বাদ। আমি যতদিন গান গাওয়ার সুযোগ পাচ্ছি, আমায় যতদিন মানুষ ভালবেসে ডাকছেন, ততদিন আমি গান গাইব।