অল্প বয়সেই জনপ্রিয়তা, মানুষের মণিকোঠায় স্থান পেতে ঠিক কতটা যোগ্যতা লাগে? সেই মাপকাঠি একেবারেই ভিন্ন। ইমন চক্রবর্তীর কাছে গান শুধু বেচেঁ থাকার রসদ নয়, বরং ইমন গান গায়ে মাখেন। কিন্তু, একসময় সব ছেড়ে তিনি চলে যেতে চেয়েছিলেন না ফেরার দেশে।
Advertisment
ভয়ঙ্কর সুপ্ত বাসনায় ভরে উঠেছিল তাঁর জীবন। লিলুয়ার বুকে বেড়ে ওঠা। ইমন অল্প বয়সেই হারিয়েছিলেন মাকে। তারপর থেকেই তাঁর মধ্যে আরও বেশি করে চেপে বসে একা থাকার প্রবণতা, নিজেকে ধ্বংসের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। মা চলে যাওয়ার পর, নিজেকে আরও গুটিয়ে নিচ্ছিলেন। এক নিমেষেই যেন সব পাল্টে গিয়েছিল। পাশ থেকে সরে গিয়েছিল বন্ধু থেকে প্রেমিক সকলেই।
ইমন একবার নিজেই জানিয়েছিলেন সেসব অতীতের বিষাদ স্মৃতির কথা। রোজ রাতে ঘুমোতে যেতেন, আর ভাবতেন যেন সকাল না হয়। ইমনের কথায়, "আজ পর্যন্ত কোনদিন বাবাকেও বলিনি। আমার একটা ডায়েরিতে সুইসাইড নোট লিখতাম আমি। এটাই আমার জীবনের শেষ দিন, শেষ মুহূর্ত। সকলকে মিস করব"। কিন্তু, কথায় বলে, সুরের দরিয়ায় একবার যে পা রাখে, তাঁর ভুল পথে এগোনো এক্কেবারে দায়। ইমনের জীবনেও সঙ্গীতের ভূমিকা ঠিক এতটাই।
তিনি, সুরকে সঙ্গে নিয়েই এগিয়ে গিয়েছিলেন। একটা সময় পর মনে হয়েছিল, কেন করছেন এসব? কিসের জন্য করছেন। নিজেকে সুস্থ করতে চিকিৎসকের দরজায় পর্যন্ত গিয়েছিলেন। গানের মধ্যে দিয়েই নিজেকে ফিরিয়ে এনেছিলেন। অনুপম রায়ের সুরে গান গেয়ে জাতীয় পুরস্কার পর্যন্ত পেয়েছেন। তারপরে, তো টলিপাড়ার অন্দরে, তাঁর গুণগান রয়েছেই।
সারেগামাপার মঞ্চ থেকেই ইমনের আরেক প্রতিভার কথাও জানতে পেরেছেন সকলে। তিনি যে কি দারুন নাচেন, একথাও বলে দিতে হয় না। আবার, নিজেই এমন দাবি করেছিলেন যে তিনি এককালে নাচ পর্যন্ত শিখতেন। আজ ইমনের জন্মদিন। গতকাল রাতেই ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে ইমন তাঁর জন্মদিন উদযাপনের কিছু মুহূর্ত শেয়ার করেছিলেন। ৩৪ বছরের জীবনে অনেককিছু দেখেছেন। আবার, অনেককিছু সহ্যও করেছেন। কিন্তু, আজ তিনি সফল।