Sushant Singh Rajput: সুশান্ত সিং মাদক-কাণ্ডে ফ্রিজ করা দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে নির্দেশ দিল আদালত। কোর্টের পর্যবেক্ষণ, অবৈধভাবে এনসিবি ফ্রিজ করেছে অ্যাকাউন্ট দু’টি। এই মামলায় অন্যতম দুই অভিযুক্ত জয় মাধক এবং জইদ ভিলাত্রা পৃথক আবেদন কোর্টে করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, ‘গত অক্টোবরে ব্যাঙ্ক আমাদের জানায় তারা লেনদেন বন্ধ রেখেছে।‘ এমনকি, তাঁদের বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগের সঙ্গে কোনও যোগ নেই ব্যাঙ্কগুলোর। এমনটাই আদালতকে জানানো হয়েছে। এই মামলায় সিআরপিসি-র ১০২ ধারায় তদন্তকারী সংস্থা ম্যাজিস্ট্রেটকে অন্ধকারে রেখেছিলেন।
যদিও এই আবেদনের বিরোধিতা করেছে এনসিবি। তাদের সওয়াল, যেহেতু এখনও তদন্ত চলছে তাই অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া ঠিক হবে না। যদিও আদালতের যুক্তি, ‘অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার আগে ম্যাজিস্ট্রেটকে জানানো উচিত। তাই ম্যাজিস্ট্রেটকে অন্ধকারে রেখে অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ অবৈধ। তাই অবিলম্বে অ্যাকাউন্ট দুটো খুলে দিতে হবে।‘
এদিকে, বলিউড মাদক-কাণ্ডে সবচেয়ে বেশি চর্চিত নাম আরিয়ান খান এবং অনন্যা পাণ্ডে। মাদককাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর জেরার মুখে অনন্যা পাণ্ডে (Ananya Pandey)। গত বছর শেষের দিকে অভিনেত্রীকে দুপুর ২টোর সময় তলব করা হয় তদন্তকারীদের তরফে। নির্ধারিত সময়েই এনসিবির অফিসে পৌঁছন অনন্যা। শুরু হয় জেরা। এদিকে মেয়ে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর কড়া জেরার সম্মুখীন হওয়ায় আর বাড়িতে বসে থাকতে পারেননি বাবা চাঙ্কি পাণ্ডে (Chunkey Pandey)। তিনিও তড়িঘড়ি ছোটেন এনসিবি অফিসে।
আরিয়ান খানের (Aryan Khan) পর নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর নজর অনন্যা পাণ্ডের ওপর। কারণ, শাহরুখ-পুত্রর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকেই বলিউড অভিনেত্রীর নাম উদ্ধার হয়েছে। মুম্বইয়ের স্পেশ্যাল কোর্টে সেই তথ্য জমা দিয়েছিলেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা। সেই সময় এনসিবি টিম মন্নতে হানা দেওয়ার পর এনসিবির আরেক টিম পৌঁছয় অনন্যার বাড়িতে। সেখানেই প্রাথমিক জেরার পর অভিনেত্রীর ল্যাপটপ, মোবাইল-সহ যাবতীয় গ্যাজেটস বাজেয়াপ্ত করে নেয় গোয়েন্দা আধিকারিকরা। এরপরই অনন্যাকে সমন পাঠিয়ে ডাকা হয় মুম্বইয়ের নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর অফিসে। ভীড় ঠেলে এনসিবি দপ্তরে পৌঁছন অনন্যা পাণ্ডে। শোনা যাচ্ছে বলিউডের এই উঠতি নায়িকাকে জেরা করছেন সমীর ওয়াংখেড়েই, যিনি কিনা ছদ্মবেশে প্রমোদতরীর পার্টি থেকে শাহরুখ-পুত্রকে গ্রেফতার করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, আচমকাই চাঙ্কি-অনন্যাদের বাড়িতে হানা দেয় এনসিবি আধিকারিকরা। তবে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (NCB) অফিসাররা আপাতত খতিয়ে দেখছেন যে আরিয়ান খানের মাদককাণ্ডে কি সত্যিই কোনওভাবে জড়িত অনন্যা? নাকি তাঁরা শুধু বন্ধুত্বের খাতিরে কথা বলেছিলেন? কারণ, এনসিবি সূত্রে এও বলা হয়েছে যে, “কাউকে তলব করা মানেই সেই ব্যক্তি অপরাধী নন। জেরা করার জন্যও ডাকা হয়। অনন্যাকেও সেই জন্যই তলব করা হয়েছে।”
একইভাবে জেলবন্দি থাকাকালীন শাহরুখ দেখা করতে যান ছেলে আরিয়ানের সঙ্গে। আর তার ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই মন্নতে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর হানা।
এদিকে ছেলের গ্রেফতারির পর থেকেই শাহরুখকে বেজায় কটাক্ষের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এযাবৎকাল, বলিউড সুপারস্টার চুপই ছিলেন আরিয়ানের গ্রেফতারি নিয়ে। তবে এই প্রথমবাররে জন্য পদক্ষেপ করলেন। সোজা চলে গেলেন আর্থার রোডের জেলে।
গত ৩ অক্টোবর থেকেই পুলিশি হেফাজতে ছিলেন আরিয়ান খান। ৩০ অক্টোবর ছাড়া পান। নিম্ন আদালতে বারবার খারিজ হয়েছে তাঁর জামিনের আবেদন। তাই জামিন পেতে বম্বে হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিলেন আরিয়ান খান। তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলে বন্দি ছিলেন আরিয়ান খান। মাদক-কাণ্ডে পয়লা অক্টোবর তাঁকে বিলাসবহুল প্রমোদতরী থেকে আটক করে এনসিবি। পরের দিন আরিয়ান-সহ আট জনকে গ্রেফতার করা হয়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে পড়তে থাকুন