Shahid-Kareena Jab We Met Sequel: সালটা ছিল ২০০৭। ওই বছর মুক্তি পেয়েছিল ইমতেয়াজ আলি পরিচালিত ও শাহিদ কাপুর-করিনা কাপুর অভিনীত জব উই মেট। বক্স অফিসে দারুণ সাড়া ফেলেছিল ছবিটি। কিন্তু, জব উই মেট মুক্তির আগেই সম্পর্ক ভাঙে প্রাক্তন তারকা জুটির। একসঙ্গে কোনও ছবিতেও আর শাহিদ-করিনাকে দেখা যায়নি। কিন্তু, IIFA-এর সাংবাদিক সম্মেলনে গীত আর আদির পুনর্মিলন ঘটতেই পরিচালকের কাছে জব উই মেট-এর সিক্যোয়েলের আবদার করছে সিনেপ্রেমীরা।
সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে এই বিষয়ে কী জানিয়েছেন ইমতেয়াজ আলি? পরিচালকর কথায়, 'শাহিদ-করিনা আইফার অনুষ্ঠানে কথা বলেছে। আমাকে সবাই জব উই মেট-এর সিক্যোয়েলের জন্য বলছে ব্যাপারটা আমার বেশ ভালই লাগছে। শাহিদ আমাকে বলেছেন আমি হয়তো এই ছবি নিয়ে আর কিছুই ভাবিনি। আমি তো মজা করে বলেছিলাম এতদিন আগের সিনেমা র কথা হয়তো কেউই সেভাবে মনে রাখেনি।'
জব উই মেট-এর নির্মাতা ইমতেয়াজ আলির মতে, 'সিনেমার যে জনপ্রিয়তা আজও সিনেপ্রেমীদের মনে গেঁথে রয়েছে সিক্যোয়েল তৈরি করে সেটা নষ্ট করা উচিত নয়। তাছাড়া আমি সত্যিই শাহিদ-করিনাকে নিয়ে দ্বিতীয় ছবি তৈরির কথা ভাবিনি। অভিনেতা হিসেবে দুজনেই অসম্ভব ভাল। অতীতে ওদের সঙ্গে কাজেরও একটা দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছে।' প্রসঙ্গত, জয়পুরে IIFA ২০২৫-এর সাংবাদিক সম্মেলনের মঞ্চ যেন 'রিইউনিয়ন মোমেন্ট' বা পুনর্মিলনের মুহূর্ত। চিত্র সাংবাদিকের ক্যামেরাবন্দি প্রাক্তন প্রেমিকযুগল শাহিদ কাপুর ও করিনা কাপুর খান। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই মুহূর্তে ভাইরাল হতেই গীত-আদির নস্ট্যালজিয়ায় ভেসেছে ভক্তরা।
দাদাসাহেব ফালকে আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অ্যাওয়ার্ডস ২০২৪-এ শাহিদকে এড়িয়ে গিয়েছিলেন করিনা। সেই ভিডিও-ও ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে বছর ঘুরতেই বদলে গেল চিত্রটা। ২০০০ সালে শাহিদ-করিনা একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন। দীর্ঘদিন প্রেম করার পর ২০০৭-এ আলাদা হয় দুজনের পথ। 'ফিদা', 'চুপ চুপ কে', 'মিলেঙ্গে মিলেঙ্গে'-এর মতো বেশ কয়েকটি ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন। জব উই মেটের সিক্যোয়েল তৈরিতে শেষ পর্যন্ত ইমতেয়াজ রাজি হন কিনা, আর দর্শক পর্দায় গীত-আদির নতুন রসায়ন দেখবে কিনা সেই উত্তর দেবে সময়।