পাশাপাশি দুটি দেশ। খাবারে-ব্যবহারে-পোশাকে-সাহিত্যে এবং সবথেকে বেশি আত্মিক যোগাযোগ বাংলা ছবিতে। কাঁটাতারের দুপারের সংস্কৃতির মেলবন্ধন বজায় রেখেই প্রথমবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হল ভারত-বাংলাদেশ ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড। ঢাকার বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এপার বাংলার বেশ কিছু জনপ্রিয় মুখ।
বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের ছবিও সমানভাবে সমাদৃত হল। ভারত-বাংলাদেশ ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডে ভারতের সেরা ছবির সম্মান পেল কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের 'নগরকীর্তন'। সেরা অভিনেতা ও অভিনেত্রীর পুরস্কার ঝুলিতে পুড়লেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (জ্যেষ্ঠপুত্র) ও পাওলি দাম (কণ্ঠ)। সেরা পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় (এক যে ছিল রাজা)।
আরও পড়ুন, কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে মায়েস্ত্রো বিভাগে বুদ্ধদেবের ‘উড়োজাহাজ’
সেভাবেই বাংলাদেশের সেরা ছবির মুকুট পড়ল 'দেবী'। সেরা অভিনেতা এবং অভিনেত্রীর শিরোপা পেলেন সঈম আহমেদ (প্রথমা টু) এবং 'দেবী'-ছবির জন্য জয়া আহসান। প্রসঙ্গত, 'দেবী'-র প্রযোজনাও করেছেন অভিনেত্রী। সেরা পরিচালক নাসিরউদ্দিন ইউসুফ (অল্প)।
আরও পড়ুন, আবকি বার কৌন? র্যাপেই প্রশ্ন ছুঁড়লেন কলকাতার র্যাপার
এখানেই শেষ নয়, ভারত ও বাংলাদেশর সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে অবদানের জন্য লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট পুরস্কারে সম্মানিত করা হল রঞ্জিত মল্লিক (ভারত) এবং আনোয়ারা বেগমকে (বাংলাদেশ)। কিছুদিন আগেই এই অ্যাওয়ার্ড শো উপলক্ষে বাংলাদেশ উড়ে গিয়েছিলেন টলিউডের শিল্পীরা। বাংলাদেশের মঞ্চে দেখা গেল অরিন্দম শীল, ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়, ইমন চক্রবর্তী, ব্রাত্য বসুরা।
আরও পড়ুন, ফের ভেঙ্কটেশে দেব, ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যে বরফ গলল!
সুদীপ্তা চক্রবর্তী, ইমন চক্রবর্তী, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, সিনেমাটোগ্রাফার গৈরিক সরকারদের হাতেও উঠল পুরস্কার। বিশেষ জুরি পুরস্কার পেলেন আবির চট্টোপাধ্যায় ও রুদ্রনীল ঘোষ। মীরের সঙ্গে এই বিশেষ অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করলেন গার্গী রায়চৌধুরী। ফিল্ম ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া এই অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন ঢাকার বসুন্ধরা গোষ্ঠী এবং টিএম ফিল্মসের সঙ্গে একযোগে।