Saif Ali Khan: গুরুগ্রামের কাছে ১০ একর জমির উপর রয়েছে সইফ আলি খানের ৮০০ কোটির প্যালেস। আর সেখানে রয়েছে ১৫০ টি ঘর। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট মোতাবেক, এই প্যালেসটি তৈরি হয়েছিল ১৯৩৫ সালে। Robert Tor Russell-এর হাতে গড়া এই পতৌদি প্যালেস। যিনি দিল্লির Connaught Place টি তৈরি করেছিলেন।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/bee0dae2-c48.jpg)
৯০ বছরের পুরনো এই প্যালেসে উত্তরাধিকার সূত্রে সকলে বসবাস করছেন। কিন্তু, ২০০৫ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত Neemrana Hotels group এটি লিজে নিয়েছিলেন। পরে সইফ পতৌদি প্যালেস কিনে নিলে সেটি তাঁদের সম্পত্তি হয়ে যায়। এখন সেখানেই পরিবারের সঙ্গে থাকেন পতৌদি নবাব। কখনও আবার শুটিং লোকশন হিসেবেও ব্যবহার করতে দেন।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/953d2949-f2d.jpg)
মিড ডে-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সইফ বলেছিলেন, 'আমি এই পতৌদি প্যালেসটা কিনতে চেয়েছিলাম। কারণ এক দশকের বেশি সময় এটি লিজে ছিল। এই পতৌদি প্যালেসকে নতুন করে সাজানোর জন্য প্রথমে এটা নিজের সম্পত্তি করা প্রয়োজন। আমার বাবা মনসুর আলি খান পতৌদির প্রয়াণের পর এটি নিমরানা হোটেলকে ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। আমন ও ফ্রান্সিস সেই ব্যবসা চালাতেন। উনি বলেছিলেন আমি যদি এই পতৌদি ম্যানসন কিনতে চাই তাহলে তাঁকে জানাতে হবে। আমি বলেছিলাম এটা ফেরৎ চাই। তাঁরা একটি সম্মেলন করেন। আমাদের অনেক টাকা দিতে হবে সেই শর্তে রাজি হয়েছিলেন।'
/indian-express-bangla/media/post_attachments/1c0849d6-57c.jpg)
আরও বলেন, 'সিনেমা থেকে আমার যা আয় হয় সেই টাকা দিয়ে আমার পতৌদি প্যালেস কেনার ক্ষমতা রয়েছে। যে বাড়িটা উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়ার কথা সেটা সিনেমা থেকে আয়ের টাকায় পুনরোদ্ধার করতে পেরেছি। অতীত নিয়ে তো বাঁচা সম্ভব নয়। আমার পরিবার তো কিছুতেই পারবে না। এই প্যালেসের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে অনেক ইতিহাস, সংস্কৃতি, সুন্দর ছবি, অনেক জমি। এর একটা বিশেষ ঐতিহ্য আছে। তবে উত্তরাধিকার সূত্রে পাইনি।' বলিউড বাবলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পতৌদি নবাব জানান, 'এটা আসলে পুনরায় কিনেছি তা নয়, লিজ মুক্ত হয়েছি।'
/indian-express-bangla/media/post_attachments/3fec129c-d3d.jpg)
সাম্প্রতিক অতীতে ইন্ডিয়া টুডে-কে সইফ আলি খান বলেছিলেন, তাঁর ঠাকুমা বলে গিয়েছেন এই প্যালেসটা যেন কোনওদিন হোটেলে পরিণত না হয়। যেহেতু একটি ঐতিহাসিক স্থান, সইফের বাবা বলেছিলেন, ঠাকুমার ইচ্ছে বজায় রাখতে হলে তাঁদের এই প্যালেসে শিফট হতে হবে। অভিনেতার সংযোজন, 'বংশানুক্রমে বাড়িটি প্রতিটি প্রজন্মের। আমার বাবা ছিলেন একজন নবাব। সেই নীতিতেই জীবনযাপন করেছিলেন। সময় বদলেছে। তাই বাবা বলেছিলেন এটি হোটেল হিসেবে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বানিয়ে ফেলতে। কিন্তু, আমার মনে আছে ঠকুমা বলেছিলেন এটা কখনও করো না। এটা আমাদের ঐতিহ্য আমার গর্ব।'
/indian-express-bangla/media/post_attachments/9b62aa8c-e24.jpg)
পতৌদি নবাবের বক্তব্য, 'আমার ঠাকুমা-ঠাকুরদা, বাবা প্রত্যেকের শেষযাত্রা এই পতৌদি ম্যানসন থেকে। এটা আমার বাড়ি। এইরকম অনেক পুরনো বাড়ি আছে। পতৌদির সাতজন নবাব মিলে এই ম্যানসনটি তৈরি করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে আমার বাবাও একজন। আমি তাঁদের ক্রিকেট খেলার ব্যাট, বল এখানে রাখতে চই। এটা আমার স্বপ্ন, যা অনেকটাই পূরণ করতে পেরেছি।'